ঘাটালের পর এ বার এগরা পুরসভাতেও ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। বুধবার কাঁথিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী এগরার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কবে অনাস্থা আনা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “বামেদের ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে আমরা এতদিন কংগ্রেসকে সমর্থন করেছি। কিন্তু পুরপ্রধান ও কংগ্রেসের দুর্নীতি, ব্যর্থতার দায় আর বইতে চাই না। তাই অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
২০০৯ সালে এগরা পুরসভার ১৪টি আসনের মধ্যে চারটি করে আসনে জিতে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট বাধে। কংগ্রেসের পুরপ্রধান হন স্বপন নায়েক। তৃণমূলের উপপুরপ্রধান বীরেন নায়ক। সেই সময় ঠিক হয়েছিল আড়াই বছর পরে পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান পদ বদল করে নেবে দুই দল। কিন্তু কংগ্রেস পরে তা মানতে না চাইলে দূরত্ব তৈরি হয় দু’দলে। ততদিনে ডিএসপি ও সিপিআইয়ের দুই কাউন্সিলর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। অন্য এক বাম কাউন্সিলরকেও ঘনিষ্ঠ করে নেন পুরপ্রধান। কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলা যাবে না বুঝে চুপ করেছিল তৃণমূল। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যেও জোট ভেঙেছে দু’দলে। সম্প্রতি ঘাটালে তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে দলে টেনে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে এগরাতেও অনাস্থা আনার কথা ভাবছে দল। কিন্তু কী অঙ্কে? খোলসা করতে চাননি তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “অঙ্কটা এখনই বলতে চাইছি না আমরা। আমরা দলগত ভাবে অনাস্থা যখন আনব, তখনই জানতে পারবেন।”
যা শুনে কংগ্রেসের পুরপ্রধান স্বপন নায়েকের প্রতিক্রিয়া, “অনাস্থা এনে মুখ পুড়বে তৃণমূলের।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুব্রত পণ্ডা বামেরা কোনও পক্ষই নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অঙ্কটা তাহলে কোথায়পরিষ্কার হয়নি এখনও।
|