ফের পিছিয়ে গেল ছোট আঙারিয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৭ জুন।
৯ মার্চ মেদিনীপুর আদালতে দিল মহম্মদের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ হাইকোর্টে আবেদন জানানোর জন্য সময় চেয়েছিলেন। মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সময়ও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ছিল সাক্ষ্যগ্রহণ। এ দিন বিশ্বনাথবাবু আদালতে জানান, হাইকোর্টে তাঁরা ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন। তা তালিকাভুক্তও হয়েছে। সামনে আদালতের গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তাই ফের সময় চান দিল মহম্মদের আইনজীবী। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। তবে এর মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ না আনতে পারলে আর সময় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারক।
দু’টি বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল মহম্মদের আইজীবীরা। প্রথমত, বক্তার মণ্ডল ছাড়াও আসিয়া বিবি, রফিক মণ্ডল ও সিদ্দিক মণ্ডলের একই সঙ্গে সাক্ষ্য নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, বক্তার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সকলকে খুনের হুমকি দেওয়ায় গতবার তিনি মিথ্যে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই বয়ান আদালতে রেকর্ড করা যাবে না বলে বিশ্বনাথবাবু আবেদন জানান। এর বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু। আদালত, সিবিআইয়ের আইনজীবীর কথা মেনে নেন। তারপরই হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বনাথবাবু।
এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু। ছিলেন সাক্ষী বক্তার মণ্ডল। আনা হয়েছিল বিচারাধীন বন্দি দিল মহম্মদকে। বিশ্বনাথবাবু জানান, তাঁদের আবেদন হাইকোর্টে নথিভুক্ত হয়েছে। ফলে, আরও সময় চেয়ে আবেদন জানান তিনি। সব মিলিয়ে ছোট আঙারিয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আরও এক মাস পিছিয়ে গেল।
|