|
|
|
|
অস্বীকার বিদ্যার্থী পরিষদের |
নিষেধ সত্ত্বেও ফের স্কুলছাত্র নিয়ে মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আদালত এবং সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্কুলপড়ুয়াদের আনার অভিযোগ উঠল বিজেপি-ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর বিরুদ্ধে। সংগঠনের তরফে অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে অবিলম্বে কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন চালু করা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার দাবিতে এবং শিক্ষায় সংখ্যালঘু সংরক্ষণের প্রতিবাদে বুধবার ‘মহাকরণ অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিল এবিভিপি। ওই কর্মসূচিতে স্কুলপড়ুয়াদের যোগ দিতে দেখা যায়। পুলিশও জানায়, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এ দিন ওই কর্মসূচিতে স্কুলপড়ুয়ারা ছিল।
এবিভিপি-র পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “আমরা স্কুলে রাজনীতি করার বিরোধী। তাই আমাদের কর্মসূচিতে স্কুলপড়ুয়াদের আনার প্রশ্নই নেই। মিছিল চলাকালীন পথচলতি কোনও স্কুলপড়ুয়া কৌতূহলবশে দাঁড়িয়ে পড়ে থাকলে অন্য কথা। হয়তো তেমন কোনও ছবি দেখিয়েই পুলিশ এ কথা বলছে।” এমনকী মিছিলে তিনটি স্কুলপড়ুয়ার যোগদানের পিছনে চক্রান্তও থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত করাতে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সময় কেউ বা কারা তিনটি বাচ্চাকে ব্যাজ পরিয়ে ওখানে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলিয়ে থাকতে পারে। আমরা খেয়াল করিনি। নিশ্চয়ই আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু মিছিল শুরুর মুহূর্ত থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও বাচ্চা ছিল না।” |
|
এবিভিপি-র মিছিলে স্কুল পড়ুয়ারা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক |
এর আগে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠনের মিছিলে স্কুলপড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে হইচই, লেখালেখি হয়েছে। তার পরে এ দিন এবিভিপি-র মিছিলে স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। এবিভিপি-র কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরে ফিয়ার্স লেনের দিকে যান। ১৪৪ ধারা ভেঙে মহাকরণের দিকে এগোনোর চেষ্টা করায় তাঁদের ৫২ জনকে গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় সকলকেই। ওই কর্মসূচির জেরে কিছু ক্ষণ যানজট হয় মধ্য কলকাতার কয়েকটি রাস্তায়।
মঙ্গলবার এসইউসি-র আইন-অমান্য আন্দোলনে যে-অশান্তি হয়েছিল, এবিভিপি-র এ দিনের কর্মসূচিতে অবশ্য তা হয়নি। এসইউসি-র মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে পুলিশ পেটানোর অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা এ ভাবে শৃঙ্খলা ভেঙে আইন-অমান্য আন্দোলন করবে, ভবিষ্যতে তাদের এই ধরনের আন্দোলন করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।”
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মমতার তুলনা করে এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বসু এ দিন বলেন, “ওঁর হিম্মত থাকলে আইন-অমান্য বন্ধ করে দেখান।” মমতা নিজেও যে নিজে আইন-অমান্য আন্দোলন করে বিখ্যাত হয়েছেন, তা মনে করিয়ে দিয়ে সৌমেনবাবুর প্রশ্ন, তাঁর (মমতার) ২১ জুলাইয়ের আন্দোলন কী ছিল? এসইউসি নেতা জানান, তাঁদের কর্মীরা পুলিশকে মারেননি। ছবি ও আহত পুলিশকর্মীর বক্তব্যই তার প্রমাণ। ওই পুলিশকর্মী ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে জখম হন।
|
পুরনো খবর: স্কুলছাত্রদের নিয়ে ফের ডিএসও-র মিছিল, মন্ত্রী চান রিপোর্ট |
|
|
|
|
|