আগামী দু’বছরের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার গজলডোবা মেগা পর্যটন হাবের কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের একটি অনুষ্ঠানের যোগ দিতে এসে এ কথা জানান রাজ্যের পর্যটন সচিব বিক্রম সেন। আগামী ১০ জুন ওই প্রকল্পের ‘বিড’ খোলার নির্দিষ্ট দিনক্ষণের পর থেকে দুই বছরের সময়সীমা শুরু হবে বলে বিক্রমবাবু জানান। তিনি বলেন, “দেশের অত্যন্ত নামকরা বিভিন্ন সংস্থা এই বিডিং প্রক্রিয়ায় যোগ দিচ্ছে। বিড খোলার দু’বছরের কাজ শেষ করা হবেই। ইতিমধ্যে কলকাতা ও দিল্লিতে লগ্নিকারী শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এ বার সেই বৈঠক শিলিগুড়িতেও হল। সেখানে গোটা প্রকল্পটি তাঁদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের থেকেই নানা পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।” উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসেই কলকাতা এবং দিল্লিতে শিল্পপতিদের নিয়ে গজলডোবায় লগ্নি সংক্রান্ত বৈঠক করেছে পর্যটন দফতর। বিক্রমবাবু জানান, দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স, মালদহের স্পটগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নদী, জঙ্গল, পাহাড়কে ঘিরে র্যাফটিং, সাইক্লিং, রক ক্লাইমবিং, ওয়াটার স্পোটর্স, রিভার ক্রসিং, জঙ্গল ওয়াক-এর মত প্রকল্পগুলি গড়া হবে। জিটিএ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সাহায্যে প্রকল্পগুলি তৈরি হবে। পর্যটন দফতর পরিকাঠামোর জন্য আর্থিক সাহায্য করবে। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া সহ সভাপতি মোহন টিক্কো জানান, আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই বিষয়ে সবর্তভাবে সাহায্য করব। বিশেষ করে বিভিন্ন সতর্কতা বিষয় নিয়ে কী কী করণীয় তা আমরা বিশদে জানাব।
|
অশ্বিনী কুমার পদত্যাগ করার পরে কপিল সিব্বল আইন মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার পর দিনই ভোডাফেনের কর সংক্রান্ত বিতর্ক আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। ২০০৭-এ হংকং-ভিত্তিক মোবাইল পরিষেবা বহুজাতিক হাচিসন-এসারের ভারতীয় শাখা কিনে নেয় ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোডাফোন। কিন্তু এ জন্য কেন্দ্রকে কর দেয়নি তারা। তাদের দাবি ছিল, এই অধিগ্রহণ দু’টি বিদেশি সংস্থার মধ্যে চুক্তি , যা সইও হয়েছে বিদেশের মাটিতে। কেন্দ্রের দাবি ছিল, ব্যবসার একটা বড় অংশ ভারতে হওয়ায় ১১ হাজার কোটি টাকা কর তাদের প্রাপ্য। সিব্বল এ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতীর মতামত চান। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তাঁর পূর্বের অবস্থান বদলে বাহনবতী আলোচনার পথে হাঁটার পক্ষেই মত দেন। অশ্বিনী কুমার কোনও রকম আলোচনারই বিরুদ্ধে ছিলেন। রফার ইঙ্গিত দিয়ে কেন্দ্র বিদেশি লগ্নিকারীদের নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে চাইছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। সিব্বলও বলেছেন, “আইনি প্রক্রিয়া উন্নয়নের পথে বাধা হলে চলবে না। বরং তা ত্বরান্বিত করতে হবে।”
|
অবশেষে সহারা গোষ্ঠীর লগ্নিকারীদের টাকা সুদ-সমেত তাঁদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। তবে এখন টাকা পাবেন শুধু তাঁরাই, যাঁদের তথ্য যাচাই করে সেবি কোনও গরমিল খুঁজে পায়নি। লগ্নিকারীদের ফেরাতে সহারা যে ৫,১২০ কোটি টাকার তহবিল সেবির কাছে জমা দিয়েছে, সেখান থেকেই মেটানো হবে অর্থ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগেই সহারা লগ্নিকারীদের একটি তালিকা জমা দিয়েছিল সেবির কাছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, তার মধ্যে অনেক তথ্যেই বহু অসামঞ্জস্য খুঁজে পেয়েছে সেবি। কোথাও এক নামের ব্যক্তির একাধিক ঠিকানা আছে। কোথাও আবার একাধিক ব্যক্তির ঠিকানা একই। কোনও ক্ষেত্রে আবার প্রদত্ত ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্য খুঁজেই না-পাওয়া যাওয়ায়, সেগুলি ভুয়ো বলে সন্দেহ করছে সেবি।
|