অর্থের বিনিময়ে রেলের উচ্চপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আজ রেল মন্ত্রকের দুই পদস্থ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে তাঁরা কারা তা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। গোটা রেলভবন জুড়ে আশঙ্কার মেঘ। তবে মন্ত্রক সূত্রের খবর, বোর্ডের সচিব পর্যায়ের দুই আমলাকে আজ ডেকে পাঠিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।
এখনও পর্যন্ত পবন বনশলের ব্যক্তিগত সচিবদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল সিবিআই। আজই প্রথম রেলের পদস্থ কর্তাদের তদন্তের আওতায় আনল সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী দিনে রেল বোর্ড চেয়ারম্যান বিনয় মিত্তলের ভূমিকাও সিবিআই খতিয়ে দেখতে চলেছে। যে ভাবে সিবিআই তাদের জাল বিস্তার করা শুরু করেছে, তাতে মন্ত্রক মনে করছে, আগামী দিনে শীর্ষ কর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে বাঁচা মুশকিল। তা ছাড়া ইতিমধ্যেই মন্ত্রক মহেশ কুমারের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত দস্তাবেজ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। সেই নিয়োগে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকা কী ছিল, তা-ও তদন্তের আওতায় নিয়ে এসেছে সিবিআই। ফলে আগামী দিনে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে মিত্তলের বাঁচা মুশকিল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মহেশকুমারের নিয়োগের পাশাপাশি গত চার বছরে রেলের শীর্ষ পদগুলিতে কাদের কী যুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ফলে তৃণমূলের সময়কালীন বিভিন্ন নিয়োগ এখন সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে।
আজ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সন্দেহের আবর্তে রয়েছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পবন বনশলও। কবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তা খোলসা করতে করেনি সিবিআই। বনশলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রেল মন্ত্রক সংক্রান্ত বিভিন্ন বড় কাজের বরাত যে সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। অভিযোগ, বিশেষ কিছু সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতে গত ছয় মাসে একাধিক নীতিতে পরিবর্তন এনেছিল রেলমন্ত্রক। অভিযোগ, বনশলের আত্মীয়দের ফায়দা পাইয়ে দিতেই ওই নিয়ম বদল করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, পরিবারের আত্মীয়দের রেলে জল পরিবেশনের ঠিকা পাইয়ে দিতেই ওই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। তার জন্য ফের এক বার বনশলের সচিব তথা আত্মীয় রাহুল ভাণ্ডারী ও বিতুল কুমারকে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই। |