|
|
|
|
ইউপিএ নিয়ে নরম সুর কারাটের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে কেন্দ্রে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিপরীত পথে হেঁটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব নিচ্ছে সিপিএম। বিজেপি-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই কয়লাখনি দুর্নীতির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ইস্তফার দাবি করছে। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটছেন না প্রকাশ কারাট। যুক্তি, সিবিআই তদন্ত চলছে। সিবিআই কী রিপোর্ট দেয়, তা গুরুত্বপূর্ণ। কয়লাখনি বণ্টনের সময়ে প্রধানমন্ত্রীই কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। নরম সুরে কারাট বলেছেন, “আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলুন আসলে কী হয়েছিল।” অনেকের মতে, এর পিছনে সিপিএমের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃতীয় ইউপিএ সরকার হলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে সিপিএম। কংগ্রেসের প্রতি নরম হয়ে তাদের সঙ্গে মমতার দূরত্ব বাড়ানোর কৌশলও নিচ্ছেন কারাট। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের পথেই হাঁটছেন।
সিপিএম নেতারা জানিয়েছেন, দলের এখন যা শক্তি, তাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃতীয় ফ্রন্ট বা আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিকল্প গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বরং নির্বাচনের পরে এই জাতীয় বিকল্প ফ্রন্ট উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। কিন্তু সমস্যা, আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট হলে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। সিপিএমের পক্ষে সেই জোটের অংশীদার হওয়া সম্ভব হবে না। বিজেপি যেহেতু সিপিএমের কাছে রাজনৈতিক ভাবে অচ্ছুত, তাই সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের দিকে যাওয়া ছাড়া সিপিএমের সামনে কোনও উপায় থাকবে না। আজ কারাট বলেন,“ তৃতীয় ফ্রন্টের বিষয়ে এখনও কারও অবস্থানই পরিষ্কার নয়। আমাদের নির্বাচনী কৌশল হল, বামেরা একসঙ্গে লড়বে।”
প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার প্রশ্নে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব রেখেই চলছে সিপিএম। কারাটের যুক্তি, বিজেপি বলেছিল, দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে দিলেই সংসদ চলবে। সিপিএম সে কথা বলেনি। তাঁর মতে, গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার নতুন প্রমাণ সামনে আসায় নরেন্দ্র মোদীরও ইস্তফা দেওয়া উচিত। |
|
|
|
|
|