কালদিঘি বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সিপিএমের। দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃহত্তম ওই জলাশয়ের টেন্ডার নিয়ে সিপিএম নিয়ন্ত্রিত জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরোধীদের স্বজনপোষণের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অভিযোগের পরে সরকারি নিয়মে নতুন টেন্ডার শেষে বরাত দেওয়া নিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এ বার জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আদালতে এক মৎস্য উৎপাদন সমবায় সংস্থা। গত ৬ মে সংস্থাটি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়।
তপন ব্লকের মির্জাপুর আজাদিয়া ফিস প্রোডাকশন গ্রুপ নামে সমবায় সংস্থার কর্তা কছির সরকার বলেন, “১১ লক্ষ টাকার উপরে দরপত্র জমা দেওয়ার পরেও আমাদের লিজ দেওয়া হয়নি।” ১৩ মে পরবর্তী শুনানি ধার্য করে উচ্চ আদালত। তার আগে কালদিঘি বরাত প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই বিষয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি সিপিএম নেত্রী মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “ওই সংস্থার নথিপত্রে ভুল ছিল। দরপত্রের ২৫ শতাংশ টাকা ব্যাঙ্ক ড্রাফট অথবা চেকে জমা দেওয়ার শর্ত পূরণ করেনি। সংস্থাটির টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী বলেছেন, “জেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
সম্প্রতি ওই জলাশয়ের নতুন করে লিজ প্রক্রিয়া শুরু হয়। নানা মৎস্যজীবী সমবায় থেকে সর্বোচ্চ দরপত্র ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা পড়ে। নামমাত্র মূল্যে জলাশয় লিজ দেওয়া নিয়ে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। অস্বস্তিতে পড়ে যান সিপিএম নেতৃত্ব। গত সপ্তাহে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে জেলাপরিষদ। তপন ব্লকের চন্ডীপুর ফিস প্রোডাকশন নামে সমবায় সংস্থাকে বাৎসরিক ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকায় জলাশয়ের বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে ওই টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী তপন ব্লকের মির্জাপুর আজাদিয়া ফিস প্রোডাকশন নামে সমবায় সংস্থাটি সর্বোচ্চ ১১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দরপত্র জমা দিলেও তাঁদের বরাত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
৯৪ একরের কালদিঘি দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ বছরে ২৫ হাজার টাকায় লিজ দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি মৎস্য, ভূমি রাজস্ব ও জেলা পরিষদের তিন আধিকারিককে নিয়ে গঠন করা তদন্তকারী দল জেলাশাসককে জানায়, কালদিঘির বাৎসরিক লিজের টাকা হওয়া উচিত কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা।
|