বাম আমলে বীজ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে কোচবিহারে এসে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কোচবিহারের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যুব তৃণমূলের কনভেনশনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ অন্যান্য নেতারাও ফব-কেই আক্রমণের নিশানা করেন।
এ দিনের সভায় বাম আমলে মন্ত্রিসভায় থেকেও ফরওয়ার্ড ব্লক উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের অভিযোগ নিয়ে মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছে বলে অভিযোগ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “যে কোনও অছিলায় কিছু লোক আসরে বসে পড়েন। তাদের মধ্যে একজন দিনহাটার বিধায়ক। তাঁর বাবা যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি একচ্ছত্র ব্যবসা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমার কাছে সব তথ্য আছে।” শুভেন্দুবাবুকে পাল্টা রাজনৈতিক আক্রমণ করে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক বিধায়ক উদয়নবাবু বলেন, “নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে আমার কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। কিন্তু শুভেন্দুবাবু সেটা না পারলে সাংসদ পদ ছাড়বেন কিনা সেটা স্পষ্ট করুন।” এ দিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কোচবিহারের দিনহাটায় সভা করার কথাও এ দিন ঘোষণা করেছেন শুভেন্দুবাবু। জেলায় সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে তৃণমূল যে ফব-কে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিচ্ছে তা দলের নেতা-কর্মীদের বক্তব্যে স্পষ্ট। তা এ দিন ফব-কে আগাগোড়া আক্রমণের রাস্তায় গেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তাঁর কথায়, “স্বাধীনতার পর থেকে উদয়নবাবুরা সিতাইয়ে সেতু তৈরির কথা বলেছেন। শিলান্যাস করেছেন কাজ হয়নি। আমরা সরকারে এসে কাজ শুরু করেছি। পঞ্চায়েতের আগে দিনহাটার প্রতিটি এলাকা চষে ফেলব যাতে ফরওয়ার্ড ব্লক একটাও আসন জিততে না পারে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ফরওয়ার্ড ব্লককে ভোটে হারিয়ে উন্নয়নের জোয়ার আনতে হবে।”
শনিবার কোচবিহার ও ময়নাগুড়ির হাইস্কুলের মাঠে দুই সভাতেই ফের অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করেছেন যুব তৃণমূল সাংসদ। ডাকঘর কিংবা ব্যাঙ্কে টাকা রাখার পরামর্শ দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রকেও আক্রমণ করেন তমলুকের সাংসদ। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি জানাতে খুব শিগগিরি জলপাইগুড়িতে নাগরিক কনভেনশন করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। |