বাজ পড়ে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বাবা ও ছেলে-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গেলেন আরও একজন। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন।
শনিবার বিকেলে ওই দুই লাগোয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় তুমুল ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে। বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার সন্ধ্যাজল গ্রামের কাছে একটি প্রতীক্ষালয়ে বাসযাত্রীদের সঙ্গে রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে আসা কিছু শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছিলেন। হঠাৎ সেখানে বাজ পড়ে। মৃত্যু হয় রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের শ্রমিক টনিক শেখ (১৭) ও সন্ধ্যাজলের বাসিন্দা সুখেন গড়াইয়ের (২৭)। জখম হন ৮ জন। বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জিতু শেখ বলেন, “অনেকেই প্রতীক্ষালয়ে ছিলাম। হঠাৎ চারপাশে আলোর ঝলকানি দেখি। তারপরেই দেখি ১০ জন মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।” প্রায় একই সময়ে খয়রাশোলের নওপাড়া গ্রামে বাড়ির দাওয়ায় বসে থাকা রূপা বাউরি (৪০) বজ্রাঘাতে মারা যান। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাজ পড়ে মারা যান কাঁকরতলার কল্যাণপুর গ্রামের প্রদীপ মণ্ডল (৫০) ও বোলপুরের মির্জাপুর গ্রামের মঙ্গল হেমব্রম (৫৫)।
অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানা এলাকাতেই এ দিন চার জন বজ্রাঘাতে মারা যান। স্থানীয় ঈশানপুর গ্রামের লোহারি শেখ (৫৮) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন শেখ (২২) মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মারা যান। মৃত্যু হয় খড়গ্রামের শুভেন্দু ঘোষের (৪০)। স্থানীয় সাদলগ্রামে জমিতে কাজ করতে আসা নলহাটির বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (২০) বাজ পড়ে মারা যান। দৌলতাবাদ থানার নওদাপাড়া গ্রামে আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় জরিনা বিবি-র (৩৪)। তাঁর ছেলে জখম হয়। বাজ পড়ে খড়গ্রামের এক দম্পতি জখম হয়েছেন। বড়ঞা থানার দবরপুর গ্রামেরও দুই ব্যক্তির জখম হওয়ার খবর এসেছে। ঝড়ের দাপটে দেওয়াল চাপা পড়ে এই জেলারই ভরতপুরের আমলাই গ্রামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর নাম মান্নান শেখ (৪০)। খবর পেয়ে কোথাও পুলিশ, কোথাও স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত ও জখমদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। |