সেই ছেলেটা এখন মস্ত লোক। নাম বলছি না, অনেকে চিনে ফেলবেন। কিন্তু নাম তো একটা দিতেই হয়। নাম দিলাম হরি। বিশেষ্য পদে হরি শ্রীকৃষ্ণ, কিন্তু ক্রিয়া পদে চুরি করা। ভেবেচিন্তেই দিয়েছি।
আশির দশকের প্রথমে আকাশবাণীতে চাকরিতে ঢুকি। তখন হরির সঙ্গে আলাপ। ও ছিল ক্যাজুয়াল অ্যানাউন্সার। ওর বাক্চাতুর্যে মুগ্ধ আমি। আলুর ধসা রোগে চাষিভাইয়ের কী কর্তব্যের পরই উত্তমকুমারের মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা। একেবারে দু’রকম গলা। ‘আমরা সবাই শোকমগ্ন, শোকবিহ্বল’ বলেটলে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়েই বলল, এ বার অ্যাঁও অ্যাঁও করে সারেঙ্গি চলুক, আমি একটু ঘুরে আসি। আমি তখন ডিউটি অফিসার, হরি ক্যাজুয়াল অ্যানাউন্সার। আমি রে-রে করে উঠি। ও যখন-তখন বাইরে বেরিয়ে যায়, আমাকে প্রক্সি দিতে হয়। উত্তমকুমারের মৃত্যু ঘোষণা করেই ও একটা খবরকাগজের অফিসে যেতে চেয়েছিল, পরের দিনই যদি কিছু লেখা যায়। হরি টালিগঞ্জ স্টুডিয়োপাড়াতেও যায়, জনতার ভূমিকায় অভিনয় করে। ও হয়তো লিখতে চেয়েছিল ‘কাছ থেকে দেখা উত্তমকুমার’ জাতীয় কিছু। আমি বলি, গভর্নমেন্ট তো জাতীয় শোক ঘোষণা করেনি, সারেঙ্গি কেন, শিডিউল্ড প্রোগ্রামই যাবে। হরি বলল, তুমি কীসের অফিসার? কোনও পাওয়ার নেই। ফ্রান্সের দ্য গল মারা গেল, প্যাঁও-প্যাঁও করালে, অথচ উত্তমকুমারের এই প্রয়াণের পর ‘চাহে কোই মুঝে জংলি কহে’ চালাব? ছিঃ!
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
আকাশবাণীর ঘোষকদের গলা ঠিক রাখার জন্য হরি ছোট ছোট লবঙ্গের প্যাকেট আনত। ওগুলো নাকি সুমাত্রার। ওর কোন নাবিক-বন্ধু এনে দেয়। বাজার-দরের তিন-চার গুণ বেশি দাম নিত। মাদাগাস্কারের কাবাব-চিনি বেচত, তার পর আফগানিস্তানের হিং। এ ছাড়াও পাঁচ টাকা দশ টাকা এর-ওর কাছ থেকে মাঝে মাঝেই নিত, পরে ফেরত দিতে ভুলে যেত। এক দিন আমার কাছে পঞ্চাশ টাকা চাইল। বলল, খুব দরকার, আগামী কালই দিয়ে দেবে। আমি দিইনি। প্রথম অধিবেশন শেষ হওয়া এবং দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যে কিছুটা সময় ফাঁকা থাকে। হরি বেরিয়ে গেল। যাবার সময় দু’শিট সাদা কাগজ চেয়ে নিল। ঘণ্টাখানেক পরই ফিরে এল। পকেট থেকে এক মুঠো দশ টাকার নোট বার করল। আমার সামনে গুনল। বলল, ষোলোটা। মানে একশো ষাট। বলল, টাকা রোজগার কোনও ব্যাপার? কী করে এত তাড়াতাড়ি টাকা ম্যানেজ করল সেটা আমার কাছে রহস্য ছিল। জেনেছিলাম অনেক পরে, যখন ও চিত্রপরিচালক হচ্ছে বলে আকাশবাণীতে সময় দিতে পারছে না।
এক দিন শিয়ালদা স্টেশনে ওর সঙ্গে দেখা। টলটলায়মান। ওকে বলি, এখন ট্রেনে ওঠা ঠিক হবে না। চলো বসি। দোতলায় রেলের কাফেটেরিয়াতে বসি। যে প্রশ্ন পোষা ছিল, করে ফেললাম। সে দিন একটা ঘণ্টার মধ্যে এতগুলো টাকা কী করে জোগাড় করে ফেললে ভাই? ও বলল, জীবনসংগ্রাম দাদা, জীবনসংগ্রাম। ডিউটিতে আসার সময় দেখেছিলাম, গঙ্গাসাগরে যাবে বলে অনেক লোক বাবুঘাটের সামনে বসে আছে। আমি সাদা কাগজগুলো কেটে কেটে কতগুলো স্লিপ বানালাম। দেহাতি লোকগুলোর কাছে গিয়ে বললাম, আমি বাস কোম্পানির লোক। এক ঘণ্টার মধ্যেই কাকদ্বীপ যাবার লাক্সারি বাস আসবে। খুব ভিড় হবে। যারা যারা বাসে যেতে চাও, দশ টাকা করে অ্যাডভান্স করো। কুড়ি টাকা ভাড়া। বাকি দশ টাকা বাসে উঠে দিলেই হবে। কাগজের টুকরোগুলোতে বাসের নম্বর লিখে, সই করে দিলাম। সিম্পল ব্যাপার।
তার পর নানা কাহিনি বলে গেল সম্ভবত অ্যালকোহলের প্রভাবেই। বলল, জীবনসংগ্রাম শুরু করেছিল গ্রহদোষ-নিবারক পাথর থেকে। মুঠোর মধ্যে পাথরটা ধরে থাকতে হত, সেই মুঠোহাত জল দিয়ে ধুইয়ে দিত। যাদের হাতধোয়া জল লালচে হত, তাদের জন্য ওই পাথর ঠিক কাজ করবে; যাদের হাতধোয়া জলে রঙের পরিবর্তন হত না, তাদের কপালে ওই পাথর ফিট করবে না, তখন অন্য পাথর ট্রাই করা হত। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ফিনল্ফথিলিনের মহিমা? ও বলেছিল, হ্যাঁ গুরু!
কেমিস্ট্রিতে পড়েছিলাম, ফিনল্ফথিলিন হল একটা ইন্ডিকেটর। কোনও ক্ষারীয় দ্রবণকে এক ফোঁটা ফিনল্ফথিলিন লাল করে দেয়। আসলে ওই জলে সামান্য সোডা মেশানো থাকত, ওই জলেই হাতধোয়ার কাজ করত। অন্য পাত্রে ফিনল্ফথিলিন থাকত, দরকার মতো লাগিয়ে দিত জলে।
পরে জেনেছিলাম, শ্রীহরি ‘অভিনেতা-অভিনেত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে অফিস খুলে টাকা হাতিয়েছে, শান্তিনিকেতনে প্লট করে জমি বেচার নামেও।
অনেক দিন পর ওর সঙ্গে দেখা হল। উত্তরবঙ্গের একটা শহরের হোটেল-মালিক। নেতা-পুলিশ সব ওর হোটেলেই ফুর্তি করে। বলল, সবই তো কেমিস্ট্রি গুরু, তুমি ভালই জানো। আলাদা আলাদা ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে জানতে হয়। গোপনে ফিনল্ফথিলিন ছুঁইয়ে দিলে লাল, ম্যালাকাইট কিংবা থাইমল ছুঁইয়ে হাত ধুইয়ে দিলে সবুজ জল বেরোবে।
আজ সুদীপ্ত সেন’কে নিয়ে হইচই। অনেক খুচরো সুদীপ্ত সেন চারিপাশে ছড়িয়ে রয়েছে, নেতারাও ভাল আছেন শ্রীহরি সহায়।


• চিট ফান্ডের ব্যবসা খুলে, খাটের তলায় পনেরো কোটি লুকিয়ে রেখেছেন। বাচ্চার জন্মদিনে বের করতে
গিয়ে দেখেন, ইঁদুররা পুরোটা কুটিকুটি করে রেখেছে। সবাই টাকা খাচ্ছে, ওরা ছাড়বে কেন?
• আজ রাত্তিরে আপনার গোপন ফ্ল্যাটে ফলের ঝুড়ি ডেলিভারি হয়েছে জেনে দৌড়ে দৌড়ে এলেন। ভাবছেন কত বড় ঝুড়ি, কতখানি টাকা। ঢাকা খুলে দেখেন, ও মা, কোন শয়তান আম বলে আমই পাঠিয়েছে! • পুলিশের তাড়া খেয়ে পালালেন, কিন্তু নিজের দুই বউকে নিয়ে নয়, অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে। হোটেলে উঠে দেখেন, আপনার দুই বউও অন্য অন্য পুরুষের সঙ্গে ইলোপ করে ওই হোটেলেই!

দেশের কয়েকটি বিমা সংস্থা ডিজাইনার পোশাকে বিমা সুবিধা প্রদানের কথা সম্প্রতি ঘোষণা করলেন। এই পরিষেবা পাবেন এইচএনআই বা ‘হাই নেট-ওয়র্থ ইনডিভিজুয়াল’-রা, যাঁদের ওয়ার্ডরোব-ভরার বাজেট একটা ছোটখাটো অ্যাপার্টমেন্ট-দরের থেকেও বেশি, এন্তার ডলার-ইউরোয় বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বেল্ট-জুতো-সুগন্ধি কেনা যাঁদের অবসর বিনোদন। তবু কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ডিজাইনার স্যুটবুট কিনে এনে শরীরে গলিয়ে পার্টিতে হাজির হলেই যে নিশ্চিন্তি গ্যারান্টি, তা নয়। পার্টিতে শ্যাম্পেন চলকে সসবোট উলটে মহার্ঘ পোশাক ও অ্যাক্সেসরি বরবাদ হওয়ার ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হত। ফ্যাশন-সচেতন হাই-প্রোফাইলকুলের জন্য এ হেন বিমা-ব্যবস্থা তাই মুশকিল-আসান। বিমার আওতায় থাকা ডিজাইনার জামাজুতো এখন থেকে আগুন, ভূমিকম্প, বন্যা এমনকী সন্ত্রাসবাদী হানায়ও নষ্ট হলে নো চিন্তা, টাকা ফেরত। দুর্ঘটনায় সেলাই ফেঁসে ফর্দাফাঁই হলে, হাই টি-তে চা-কফি দাগ ধরালেও পরিস্থিতি সামলান হাসিমুখে, বিমা অফিসার বাড়ি বয়ে এসে ক্ষতিপূরণ ধরাবেন। ইউরোপ-আমেরিকায় এ দস্তুর বহু দিন চালু, ভারতে সবে শুরু। তাই এদেশি বাজার ধরতে স্পেশাল ঘোষণা, পোশাকের মোট দামের মাত্র এক শতাংশ বার্ষিক প্রিমিয়াম দিলেই চলবে। চাই না পোশাক কেনার রসিদও, সেলেব্রিটি-মুখের কথাই যথেষ্ট।

সম্প্রতি জানা গেল, আদর্শ সন্তান লাভের ইচ্ছেয় মাইকেল জ্যাকসন সঙ্গিনীদের গর্ভে সুদর্শন ও বুদ্ধিমান পুরুষদের শুক্রাণু ব্যবহার করে, তিন ছেলের বাবা হয়েছিলেন। প্রিন্স, প্যারিস ও ব্ল্যাঙ্কেট— কারওরই প্রকৃত জন্মদাতা তিনি নন, বরং জোগাড় করা হয়েছে এমন সব পুরুষ, যাঁরা একই সঙ্গে পরম রূপবান, জবরদস্ত সিভি-পোর্টফোলিয়োধারী। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে গোপন শলায় ঠিক হত কার শুক্রাণু কাজে লাগানো হবে, যাতে সন্তান হয় তুখড় বুদ্ধিস্বাস্থ্যপ্রতিভাসম্পন্ন। ভক্তদের মতে, এ সেলেব্রিটিসুলভ পাগলামি। কেউ বলেছেন, জ্যাকসন তার মানে নারীসঙ্গমে অক্ষম বা অনিচ্ছুক। তবে ভুললে চলবে না, সুপুত্র লাভের আশায় হ্যান্ডসাম দেবতা থেকে মহাতপা মুনিঋষির শরণাপন্ন হওয়ার বিস্তর নজির আছে এ ভারতেই। শেক্সপিয়রও কবিতায় সুরূপ বন্ধুকে বিয়ে করে সন্তানজন্মদানের মাধ্যমে সৌন্দর্যের ধারাটি বহমান রাখার অনুরোধই জানিয়েছেন। আর নারীর প্রতি ঠুনকো অধিকারবোধকে অনায়াসে অতিক্রম করে, নিজ বীর্যের টিপিকাল পুং-অভিমান ত্যাগ করে, পরবর্তী প্রজন্মকে রূপেগুণে সমৃদ্ধ করে যাওয়ার প্রোজেক্টে অপার্থিব মহত্ত্ব চোখে পড়ছে না?
৩.৪
প্যারিস সাঁ জাঁ ক্লাবে পাঁচ মাসের জন্য খেলতে এসে
যত মিলিয়ন পাউন্ড (মোট রোজগারের পুরোটাই) শিশুদের
কাজে দান করলেন তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম
১৩৬০০
টুইটার-এ হ্যাকার-হানায় হোয়াইট হাউসে জঙ্গি
হানার ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার জেরে ২৪ ঘন্টায় যত
কোটি মার্কিন ডলার বাজারদর পড়ে গেল সংবাদ সংস্থা এপি-র
২০০০০০০

‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ওঠা প্রথম মহিলা জঙ্গি জোয়ান চেসিমার্ড-এর
মাথার দাম যত মার্কিন ডলার ধার্য করেছে এফবিআই

১৪০
সদ্য প্রকাশিত ‘২০১৩ ওয়ার্ল্ড প্রেস
ফ্রিডম ইনডেক্স’ (সংবাদপত্রের
স্বাধীনতার সূচক)-এ ভারতের স্থান যত
নম্বরে। গত এক দশকে এই র‌্যাঙ্ক সর্বনিম্ন
২১৩৯২
এক দিনের ম্যাচের আন্তর্জাতিক
কেরিয়ারে মোট যতগুলো বল ‘ফেস’
করেছেন সচিন তেন্ডুলকর
৬৫৬৯
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জেলখানায়
মোট যত ভারতীয় বন্দি হয়ে আছেন।
কুয়েতে ১৬৯১, পাকিস্তানে ২৫৩,
ইংল্যান্ডে ৪২৬ জন ভারতীয় বন্দি আছেন
৪৯.৮
দেশের যত শতাংশ মানুষ
এখনও খোলা আকাশের নীচে
প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারেন
৮০
মোট যত ধরনের টিউলিপ
ফুল ফোটে কাশ্মীরের ইন্দিরা গাঁধী
স্মৃতি টিউলিপ উদ্যানে
২১
১৯৬৯-এ যত কেজি
চাঁদের পাথর নিয়ে পৃথিবীতে
ফিরেছিল অ্যাপোলো-১১


সী


রা
য়
মালিক বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতা? যা চাইলি তারও বেশি
নে দুর্ভাগ্যটা ঘষেমেজে নিস জুতো পালিশের মেশিনে!’
কেল্লা তো ফতে, জেল্লা এ বারে ফুটুক জুতোর গাত্রে
বাকি আলো থাক ত্রিফলাশীর্ষে, মলিন দিবসরাত্রে
পরের টাকায় পেখম ছড়ান লগ্নিশিল্পে তালা।
বাঙালি তবুও মুগ্ধ দু’চোখে মাখে অনিদ্রা জ্বালা।
সকাল... ম্যাটিনি... ইভনিং শো’তে
সিনেমা চলছে বোকাবাক্সতে।
কী বই চলছে? সিনেমার নাম... ‘চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা’!
লেটারিং বেটারিং
জালিবাবা ও চল্লিশ চোর



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.