র্যান্টি মার্টিন্সের জোড়া গোলে প্রয়াগ ইউনাইটেড ৩-১ গোলে হারাল ওএনজিসিকে। এলকোর দল শেষ পর্যন্ত লিগ টেবিলে চার নম্বর হল।
পুণে এফ সি নিজেদের মাঠে পৈলান অ্যারোজকে ২-০-এ হারিয়ে দেওয়ায় তারা দু’নম্বরে শেষ করল। ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গল তাই আজ কল্যাণীতে তিন নম্বর হওয়ার লড়াইতে নামছে। প্রতিপক্ষ শিলং লাজং।
অবনমন বাঁচিয়ে ফেলা মোহনবাগানের সামনে অবশ্য কোনও লক্ষ্য নেই। ভাইচুং ভুটিয়ার দল সিকিম ইউনাইটেডের সঙ্গে জিতলেও দশ নম্বরের ওপরে তারা আর উঠতে পারছে না।
চৌম্বকে আই লিগ খেলা কলকাতার তিন ক্লাবের পারফরম্যান্স এ রকমই। এ রকম একটা প্রেক্ষাপটে আজ রবিবার কল্যাণী ও সিকিমে শুধু মাত্র নিয়মরক্ষার লড়াই দুই প্রধানের। তবে মর্গ্যান এবং করিম বেঞ্চারিফার কাছে ম্যাচগুলির গুরুত্ব রয়েছে অন্য কারণে। চিডি-মেহতাবদের তিন দিন পরেই খেলতে হবে এ এফ সি কাপের ম্যাচ। জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ। আর কার্যত ট্রফিহীন ওডাফা-টোলগেদের সামনে রয়েছে কলকাতা লিগ জয়ের সুযোগ।
শনিবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলন শেষেই মর্গ্যান বলে দিয়েছিলেন, “পুণে এফসি ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে শিলং ম্যাচে কী দল নামাব।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এএফসি কাপে ভাল ফল করাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যদি আই লিগে দ্বিতীয় হওয়ার সুযোগ থাকে সেটাও কাজে লাগাব।” পুণে জিতে যাওয়ায় মর্গ্যান যে সেরা টিম নামাবেন না সেটা তাই পরিষ্কার। আই লিগ হাতছাড়া হওয়া সত্ত্বেও দলের খেলায় খুশি মর্গ্যান। এ দিন তিনি বলে দেন, “১১৮ টা গোল করেছি এই মরসুমে। দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
অন্য দিকে অবনমন বাঁচিয়ে মোহনবাগানের শেষ প্রতিপক্ষ সিকিম। চোট সারিয়ে শেষ ম্যাচে টোলগে ওজবে ফিরছেন দলে। তাই সিকিমের বিরুদ্ধে আবার দেখা যেতে পারে টোলগে-ওডাফা জুটি। সিকিমে ফোনে ধরা হলে মোহন কোচ করিম বললেন, “সিকিমের বিরুদ্ধে জিতে কলকাতা লিগের শেষ দুটো ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
|
রবিবারে আই লিগ ফুটবল
ইস্টবেঙ্গল: লাজং (কল্যাণী ৩-৩০)
মোহনবাগান: সিকিম (গ্যাংটক)
ডেম্পো: সালগাওকর (ভাস্কো)
চার্চিল: এয়ার ইন্ডিয়া (পুণে) |