প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি স্যর অ্যালেক্সের হাতেই উঠুক। বিদায়ী ম্যানেজারকে শেষ সম্মান জানাতে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলাররা এটাই চান। সাধারণত চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কই প্রথম ট্রফি হাতে নেন। এটাই বরাবরের রীতি। কিন্তু রবিবার ক্যাপ্টেন নেমানজা ভিডিচ নন, অ্যালেক্স ফার্গুসনকেই আকর্ষণের কেন্দ্রে রাখতে চাইছেন ম্যান ইউ ফুটবলাররা। “ম্যান ইউ প্লেয়াররা মনে করে স্যর অ্যালেক্সের এটা প্রাপ্য। ক্লাবের জন্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে শেষ বার ম্যানেজার হিসেবে ফার্গুসনকে দেখার মুহূর্ত ভীষণ আবেগের। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একবার স্যর অ্যালেক্স ট্রফিটা হাতে নিলেই স্টেডিয়াম জুড়ে যে গর্জন ছড়িয়ে পড়বে, তাতে আবেগের সঙ্গে মিশে যাবে চ্যাম্পিয়নের উচ্ছ্বাস। সেটাও কম কী?” বলে দিলেন ম্যান ইউ দলের এক ফুটবলার।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এর মধ্যে আবার বেশ কয়েকটা প্রশ্ন ঘোরফেরা করছে। ফার্গি তো ম্যান ইউকে প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন করে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু পিছনে কী রেখে যাচ্ছেন? নতুন কোচ ডেভিড মোয়েসই বা কী নিয়ে আসছেন? ম্যান ইউ সমর্থকদের এত মন খারাপের মধ্যে ওয়েন রুনিকে বিক্রির প্রসঙ্গও তো ভেসে রয়েছে। রুনি আগেই ফার্গিকে জানিয়েছিলেন, তিনি ম্যান ইউ ছাড়তে চান। প্যারিস সাঁ জাঁ, বায়ার্ন মিউনিখ এমনকী চেলসিও তাঁকে চাইছে। কিন্তু ফার্গুসন রাজি হননি। মোয়েস কি রাজি হবেন? ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জল্পনা রুনিকে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করে ম্যান ইউ নতুন মরসুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পাশাপাশি করিম বেঞ্জিমাকেও টিমে আনতে চায়। রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার জল্পনা বাড়ার সঙ্গে সতীর্থ বেঞ্জিমারও একই সরণিতে ঢুকে পড়াটা যদিও নতুন নয়। চার বছর আগেও বেঞ্জিমার জন্য ঝাঁপিয়েছিল ম্যান ইউ। কিন্তু সে বার অলিম্পিক লিয়ঁকে বেশি দর দিয়ে (৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড) বেঞ্জিমাকে কিনে নিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব। এ বার ম্যান ইউ সুযোগ হাতছাড়া করতে না চাইলেও রুনিকে বিক্রি করা এবং রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বেঞ্জিমাকে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা, পুরোটাই নির্ভর করছে মোয়েসের উপর। বেঞ্জিমার এখনও রিয়ালের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে। মোয়েস সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত আগেভাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। |