পুণের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আমরা যে ভাবে জিতলাম, সেটা প্রশংসার। কিন্তু ওই একটা জয় আমাদের প্লে অফে পৌঁছে দিতে পারবে বলে মনে হয় না। তবু চেষ্টা করব রবিবার বেঙ্গালুরু ম্যাচটা জিতে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে।
চলতি বছরে বেশ কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটতে দেখলাম। আরসিবি যদি শেষ পর্যন্ত প্লে অফে না উঠতে পারে, ওই ঘটনার তালিকায় ব্যাপারটা যে এক নম্বরে থাকবে, সন্দেহ নেই। এ বার কাগজে সবচেয়ে বেশি হেডলাইন পেয়েছে ওরাই, ক্রিস গেইল আর এবি ডে’ভিলিয়ার্সের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের জন্য। ওদের প্লে অফে উঠতে আর যে ক’টা ম্যাচ জেতা দরকার, আমি নিশ্চিত ওরা সেগুলো জিতে ফেলবে। কিন্তু রবিবার আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব, ওরা যেন এই ম্যাচটা জিততে না পারে।
বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ব্যাটিং আর বোলিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য দেখছি এ বার বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে। একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে ব্যাটিং লাইন আপ দুর্ধর্ষ আর বোলিং দুর্বল, এ রকম ব্যাপার হলে কিন্তু সাফল্য নিয়ে কোনও গ্যারান্টি নেই। উল্টোটার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। পাহাড়প্রমাণ রান, বা যদি বলেন গেইলোচিত রান, জেতার জন্য কোনওটাই যথেষ্ট দেখাবে না, যদি আপনার হাতে ভাল বোলার না থাকে। যারা কিনা উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ডট বলও করতে পারবে।
যা-ই হোক দেখে খুব ভাল লাগল যে, পুণে-র বিরুদ্ধে রায়ান টেন দুশখাতে সুযোগ পেল। আর সেটাকে দুর্দান্ত কাজেও লাগাল। গত মরসুমে ওয়েন মর্গ্যানের মতোই রায়ানকে বহু দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে সুযোগের জন্য। আর সেটা যখন পেল, ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করে গেল।
তবে দুঃখের হচ্ছে, পুণের বিরুদ্ধে রায়ানকে যে রকম ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে, গল্ফ কোর্সে ওর পার্টনার মর্গ্যানের সঙ্গে পারফরম্যান্স মোটেই সে রকম নয়। সত্যি বলতে, গল্ফ কোর্সে ওরা কিছুই করে দেখাতে পারেনি। আমার মনে হয়, এক সময়ের অপ্রতিরোধ্য জুটি কালিস আর রায়ান ম্যাকলারেনকে দেখলেই ওরা হার নিয়ে ভাবতে শুরু করে!
আবার আইপিএলে ফিরি। চেন্নাইকেই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে মারাত্মক দেখাচ্ছে। ওদের ধারাবহিকতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতোও কেউ আশেপাশে নেই। এখন প্লে অফেও ওদের এই ফর্ম চলে কি না, সেটা দেখতে আগ্রহী থাকব। আমার মনে হয় ওরা সেটা পারবে। এমএসের মতো ক্যাপ্টেন ওদের আছে। তবে কী জানেন, কিছুই তো বলা যায় না! |