|
|
|
|
এ বার হাজির মহাসেন, দুশ্চিন্তায় আবহবিদেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এখনও অনেকটাই দূরে সে। তবুও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নতুন অতিথিকে নিয়ে দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না মৌসম ভবনের। ক্রমাগত তার গতিপথের উপরে নজর রাখছেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় উপকূলে তার হাজির হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না আবহবিদেরা।
কিন্তু কে এই অতিথি?
বিজ্ঞানীরা জানান, দিন কয়েক আগে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। পরে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ বার তা এগোনো শুরু করেছে। দিল্লির মৌসম ভবনের এক আবহবিদ জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টিরই নাম দেওয়া হয়েছে মহাসেন। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় (যার মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর রয়েছে) তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের অধীনস্থ আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্রের (আরএসএমসি)। তাদের তালিকাভুক্ত আটটি দেশ (বাংলাদেশ, ভারত, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তাইল্যান্ড) নিজেদের ক্রমাঙ্ক অনুযায়ী এই ঝড়ের নাম দেয়। এ ভাবেই এর আগে আয়লা, লায়লা বা নীলমের মতো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়েছিল। মহাসেন নামটি শ্রীলঙ্কা দিয়েছে বলে আবহবিদেরা জানান।
এ দিন বিকেলে মৌসম ভবন জানিয়েছে, চেন্নাই উপকূল থেকে প্রায় ১২০০ কিমি দূরে থাকা মহাসেন প্রতি ঘণ্টায় ১৫ কিমি বেগে এগিয়ে আসছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে আবহবিদেরা মনে করছেন। কোন দিকে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়?
এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসেনের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে আবহবিদেরা জানান, বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের (যে দিকে ভারতীয় উপকূল) দিকে এগিয়ে আসবে। তার পর তা ঘুরে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে গিয়ে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টি হলেও মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে এর কোনও প্রভাব পড়ার কথা এ দিন রাত পর্যন্ত জানায়নি মৌসম ভবন। তবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
তবে এই গতিপথ-ই যে নিশ্চিত, তা অবশ্য বলছেন না আবহবিদেরা। কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের এক বিশেষজ্ঞ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ অনেক সময়ই বদলে যেতে পারে। মহাসেনের ক্ষেত্রে গতিপথের বদল হলে তা ভারতীয় উপকূলে আছড়ে পড়বে। সে জন্যই প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা এই ঘূর্ণিঝড়ের উপরে নজর রাখছেন। |
|
|
|
|
|
|