স্বামী বীরেশ্বরানন্দকে নিয়ে বই প্রকাশ |
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দকে নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে চলেছে ‘স্বামী বীরেশ্বরানন্দ স্মৃতি কমিটি’ ও ‘রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার’। শুক্রবার এই বিষয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন ওই কমিটির সদস্যেরা। ‘স্বামী বীরেশ্বরানন্দ এক দিব্য জীবন’ নামক ওই এক হাজার পাতার বইটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। তাতে স্বামী বীরেশ্বরানন্দের জীবনী, স্মৃতিকথা, চিঠিপত্র, বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর সহ ২০০টি ছবি থাকবে। বিভিন্ন শিষ্য-সহ সন্ন্যাসীরা মিলিত ভাবে বইটি লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন কোচবিহার রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী চৈতন্যানন্দ। আগামী ১৩ মে, সোমবার বিকেলে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে ওই বইটি প্রকাশ করবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ অধ্যক্ষ স্বামী প্রভানন্দ।
|
বই নেই, চারুকলায় ভর্তি নিয়েই সংশয় |
এ বছর একাদশ শ্রেণিতে চারুকলা নিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ বই-ই তৈরি হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “চারুকলাকে ভিস্যুয়াল আর্টস বা দৃশ্যকলা এবং পারফর্মিং আর্টস বা প্রয়োগকলা এই দু’ভাগে ভাগ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরি হচ্ছিল। তবে সেটাকে ঠিক বই হিসেবে ছাপা যায়নি। তাই এ বছর এই বিষয়টি বাদ রাখা হচ্ছে।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, “সরকারের তৈরি স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি ও সংসদকে যত দ্রুত সম্ভব বই তৈরি করতে বলেছি। আশা করি, এ বার বিষয়টি বাদ যাবে না।” সংসদ-প্রধান এ বছর বিষয়টি বাদ রাখার কথা বলায় আপত্তি তুলেছেন শিক্ষকমহলের একটা বড় অংশ। তাঁদের প্রশ্ন, “দেখা যাচ্ছে, বিষয়টার কোনও গুরুত্বই নেই সংসদের কাছে! ইংরেজি-বাংলা-রসায়নে কি এমনটা করা সম্ভব হত?” এ বছর একাদশ-দ্বাদশের পাঠ্যক্রম ঢেলে সেজেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সংসদ সূত্রের খবর, চারুকলার পাঠ্যক্রম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শিল্পী যোগেন চৌধুরীকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যোগেন চৌধুরী শিল্পীর চোখ দিয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করেছেন। আমি মুক্তিনাথবাবু এবং বিশেষজ্ঞ কমিটিকে বলেছি, ওই পাঠ্যক্রম এ বার শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাজাতে হবে।” গত বছরেও চারুকলায় ছাত্র নেওয়া হয়েছিল। সংসদের আশ্বাস, ২০১৪-য় ফের এই বিষয়ে ভর্তির সুযোগ মিলবে।
|
মার্কশিটে এ বার পার্সেন্টাইল |
মোট নম্বর ও গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে এ বার ‘পার্সেন্টাইল’-এর উল্লেখ থাকবে। গত বছরের মতো এ বারেও পরীক্ষার্থী যে-পাঁচটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, সেগুলি যোগ করে মোট নম্বর হিসেব করা হবে। মোট নম্বরের নিরিখে তিনি কত শতাংশ পরীক্ষার্থীর থেকে এগিয়ে আছেন, জানানো হবে তা-ও। এটাই পার্সেন্টাইল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, আইআইটি জয়েন্ট, মেডিক্যালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের পার্সেন্টাইল বিশেষ গুরুত্ব পায়। তাই এ বার তাঁরা মার্কশিটে এর উল্লেখ রাখতে চান। সভাপতি জানান, ৭ জুনের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোবে। ফলপ্রকাশের তিন দিনের মধ্যে যাঁরা বিশেষ রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানাবেন, তাঁদের ফল ২৫-২৬ জুনের মধ্যে প্রকাশ করবে সংসদ।
|
রাজ্য সরকার প্রায় তিন হাজার মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ করবে। শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ৪০-১ থাকা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ ৪০ জন পড়ুয়া-পিছু এক জন শিক্ষক। কিন্তু রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে যত ছাত্রছাত্রী আছে, তাতে ওই অনুপাতে পৌঁছতে হলে আরও অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। সেই দিকে লক্ষ রেখেই ২৯৭০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত। |