বাম আমলে আড়শায় নিয়োগ করা সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ৯৮ জন সহায়িকা ও কর্মীর নিয়োগকে বাতিল করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। ৩৫ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ৬৩ জন সহায়িকার নিয়োগকে ঘিরে গোড়া থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এক বছর আগে ওই কর্মীদের ভাতা বন্ধ করে দেন তৎকালীন জেলাশাসক। এ বার তাঁদের নিয়োগ বাতিল করল প্রশাসন। শুক্রবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি বলেন, “আড়শার ওই ৯৮ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে।” প্রকল্পের জেলা আধিকারিক নীলিমা দাস চৌধুরী বলেন, “ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি দেখাশোনার দায়িত্ব আপাতত পার্শ্ববতী কেন্দ্রের কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে। আর ওই সহায়িকাদের বদলে রান্নার কাজ করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা।”
২০১১ সালের গোড়া থেকেই ওই নিয়োগ নিয়ে তদন্তের দাবি জোরাল হয় আড়শায়। পরে বিভিন্ন স্তর থেকে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। নিয়োগ কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে নিয়োগ সম্পর্কে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফরোয়ার্ড ব্লকের অরুণচন্দ্র মাহাতো। একই ভাবে নিয়োগ কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ওই ব্লকের বিএমওএইচ এবং বিডিওকেও নিয়োগের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় ওই ৯৮ জনেরই ভাতা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হয় ওই ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিককেও। কিন্তু ভাতা বন্ধ থাকলেও এই ৯৮ জন কর্মী যথারীতি কাজ করে যাচ্ছিলেন। প্রশাসনিক তদন্তে নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরেও কেন এই কর্মীরা কাজ করে যাবেন তা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলে ব্লকের সিডিপিওকে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, নতুন করে ওই পদগুলিতে প্রশাসনকে নিয়োগের কাজ শুরু করতে হবে। নিয়োগের ব্যাপারে অবশ্য প্রশাসন থেকে এখনই কিছু জানানো হয়নি। |