নদিয়ার কাঁচরাপাড়ায় ১২১৮ বঙ্গাব্দের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদক তথা কবি ঈশ্বর গুপ্ত। তাঁর সেই বাস্তুভিটা আজ পশু চিকিৎসা বিভাগের দখলে। কবি ঈশ্বর গুপ্তই প্রথম তাঁর ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় বাংলার প্রথম নাগরিক কবি ভারতচন্দ্র রায়ের জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করেন। ১২৬২ বঙ্গাব্দের (১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ) ১ জ্যৈষ্ঠ তা প্রকাশিত হয়। ‘কবিবর ভারতচন্দ্র রায় গুণাকারের জীবন বৃত্তান্ত’ নাম দিয়ে। পরের মাসেই ওই জীবন বৃত্তান্ত বই আকারে প্রকাশ করেন। ভারতচন্দ্রকে জানার জন্য ওই জীবনীগ্রন্থ মূল্যবান উপকরণ। ঈশ্বর গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’-এ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্রের মতো সাহিত্যকের আর্বিভাব ঘটে। ঈশ্বর গুপ্তই পেরেছিলেন পুরাতন ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে নতুন সমাজের পটে আঁচড় দিতে। সেই দিকপাল কবির বাস্তুভিটে বলতে আজ আর কিছইু নেই। কবির জন্ম-মৃত্যুর সাল তারিখ ও কবি প্রশস্তি লেখা একটি স্মৃতিফলক স্থাপিত রয়েছে। আর আছে কল্যাণীতে তাঁর নামে পাঠাগার, মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতি। কিন্তু স্মৃতিফলকের কাছে পৌঁছনো দুষ্কর। স্থানটি অনাদরে, অবহেলায় ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি।
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর
|
কৃষ্ণনগরের ফুসফুস কারবালার মাঠটি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। ওই মাঠটি রয়েছে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছকাছি এলাকায় শচীন সেন রোডের উপর। মহিলা, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রাণভ’রে সেখান প্রাতঃভ্রমণ ও সান্ধ্যভ্রমণ করেন। সেই মাঠটি তিন দিক থেকে ছোট হয়ে আসছে। এক দিকের প্রবেশ পথে ১০-১৫টি লরির স্থায়ী গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। গাড়ি রাখার ফলে কদমগাছতলাটাতেও আরও একটি গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। মাঠের মূল প্রবেশ পথে ব্যক্তিগত গাড়ি রেখে ওই জায়গটাও গ্যারাজে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। মাঠের বিভিন্ন অংশ জবরদখল করে গড়ে উঠছে কংক্রিট ঢালাই করা দোকানঘর। এ ভাবে চলতে থাকলে অচিরেই পুরো মাঠটিই জবরদখল হয়ে যাবে। কৃষ্ণনগর পুরসভার কর্তাদের কাছে অনুরোধ, ওই খেলার মাঠটি বাঁচান।
বিশ্বজিৎ দত্ত, কৃষ্ণনগর
|
নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত মালুমগাছা থেকে চিঁচুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটিতে কুড়ি বছর আগে ইটপাতা হয়েছিল। এখন সেই রাস্তা খানাখন্দ ও ইটের আধলায় এবড়ো খেবড়ো দশাপ্রাপ্ত হয়েছে। চিুঁচুরিয়া গ্রামে রয়েছে হাইস্কুল। মালুমগাছার ছেলেমেয়েদের সেখানেই পড়তে যেতে হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে বেথুয়াডহরিতে। ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রয়োজনে ওই দুর্গম রাস্তা পার হতে হয় মালুমগাছা ও চিঁচুরিয়া-সহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বেথুয়াডহরির বি ডি ও-র কাছে আমার অনুরোধ, বেথুয়াডহরি থেকে বান্দাখোলা ভায়া মালুমগাছা রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, বা অন্য কোন প্রকল্প থেকে পাকা সড়ক পথে পরিণত করা হোক।
ইমতিয়াজ আলি, মালুমগাছা
|
নবগ্রাম ও খড়গ্রাম-সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকার পাকা সড়কপথের উপর গম ও ধান মেলে দেওয়া হয়। সড়কপথের ধারে রাইস মিলের ছাই ও বালি ফেলা হয়। ফলে মোটরবাইক চালানোর সময় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
তারিকাত শেখ, নবগ্রাম
|
নদিয়ার সোনাডাঙা ইন্দ্রাপল্লি থেকে বেলপুকুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ ৪ কিলোমিটার। ওই রাস্তাটি দু’ দফায় পাকা সড়কে রূপান্তরিত করার জন্য টেন্ডার করা হয়। প্রথম দফায় সোনাডাঙা ইন্দ্রাপল্লি থেকে ডাঙাপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পাকা সড়ক তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার টেন্ডার করা হলেও কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। ওই রাস্তাটি বেলপুকুর থেকে নবদ্বীপ ও মায়পুরে যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। বর্ষার আগেই ওই দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা সড়কে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কছে অনুরোধ করছি।
তরুণ চট্টোপাধ্যায়, বেলপুকুর |