|
|
|
|
মাঝরাতে বাড়ি ভাঙল হাতিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
মাঝরাতে ঘুম কেড়ে নিয়ে গেল হাতির দল।
বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে অজয় পেরিয়ে আসানসোলের সালনপুর ব্লক এলাকায় হানা দেয় প্রায় ১৮টি হাতির একটি দল। জিৎপুর পঞ্চায়েতের বনপাড়া গ্রামের বেশ কয়েকটা বাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। জিনিসপত্র ভাঙচুর থেকে শুরু করে খেত নষ্ট করে, একাধিক ফলের গাছও ভেঙে দেয়। পরে ভোররাতে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে অজয় পেরিয়ে পেরিয়ে ফের ঝাড়খণ্ডে ঢুকে যায় দলটি। এলাকায় গিয়েছে সালানপুর ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ। |
|
ভেঙেছে দেওয়াল। ছবি: শৈলেন সরকার। |
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ১৮টি হাতির একটি দল অজয় পেরিয়ে জিৎপুরে ঢোকে। মাঝরাতেই এলাকার মানুষজন হাতি ঢোকার খবর পেয়ে যান। ভোর তিনটে নাগাদ হাতির পালটি বনপাড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। ন’টি বাড়ির বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেয়, তছনছ করে জিনিসপত্রও। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যদু টুডুর বাড়ি। যদুবাবু বলেন, “হাতিগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ওরা তখনই বেশ কয়েকটা ঘরের উপরে হামলা করে।” বেশ কয়েকটা বাড়ির চাল, দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। ভেঙেছে আসবাবপত্র, টিভি সেটও। গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি। ফসল নষ্ট করা ছাড়াও, বেশ কিছু আম, কাঁঠাল, পেয়ারা গাছও মুচড়ে দেয়। তারপরে গ্রামবাসীদের টিন বাজানো ও তাড়া খেয়ে গ্রামের বাইরে বেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যায় দলটি। |
|
সালানপুরে হাতির তাণ্ডব, ভাঙল ন’টি বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র। |
সালানপুরের বিডিও প্রশান্ত মাইতি জানান, শুক্রবার ভোরে তাঁরা হাতির পাল ঢোকার খবর জানতে পারেন। খবর পাওয়া মাত্রই যুগ্ম বিডিও অঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল গ্রামে পৌঁছয়। প্রশান্তবাবু বলেন, “ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ আমরা দেখেছি। বনবিভাগকেও খবর দিয়েছি। তাঁরা এসে নিশ্চত করেছেন হাতির দলটি গ্রাম ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।”
তবে এ ভাবে মাঝরাতের ঘুম ভাঙিয়ে হাতির হানায় রীতিমতো ভয় পেয়েছেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছের তলায় জড়ো হয়ে রয়েছেন গ্রামের সকলে। এমনকী শুক্রবার রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেওয়ার কথাও ঠিক করেছেন তাঁরা। গ্রামবাসীরাই জানান, ব্লক প্রশাসনের কাছে শুক্রবার রাতেও বনদফতরের কর্মীদের গ্রামে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। সালানপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল মজুমদার জানিয়েছেন, বনবিভাগের বিট অফিসের লোকজনেরা ওই এলাকা নজরে রেখেছেন। |
|
|
|
|
|