|
|
|
|
আবেদন খারিজ, শেষমেশ জেলেই যাচ্ছেন মুন্নাভাই
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মুন্নাভাইয়ের শেষ আশাতেও জল ঢেলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে তাঁকে। আজ সঞ্জয় দত্তের সাজা পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। ১৬ মে আত্মসমর্পণ করতেই হবে সঞ্জয়কে।
১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণের সময় দাউদের সঙ্গীদের দেওয়া বেআইনি অস্ত্র বাড়িতে মজুত রাখার অপরাধে সঞ্জয়কে কারাদণ্ড দিয়েছিল টাডা আদালত। এর পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, ২১ মার্চ তারাও সাজা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। শুধু টাডা আদালতের দেওয়া সাজার মেয়াদ এক বছর কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় তারা। সঞ্জয় ইতিমধ্যেই ১৮ মাস জেল খেটে ফেলেছেন। তাই তাঁকে আর সাড়ে তিন বছর সাজা ভোগ করতে হবে। এর পরে সঞ্জয় পুনর্বিচারের আবেদন করেন। তবে সে সুযোগও দিল না আদালত।
আত্মসমর্পণের জন্য এক মাস সময় দিয়েছিল আদালত। এ সময় নেতা-মন্ত্রী থেকে বলিউড, সঞ্জয়ের মুক্তির দাবিতে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল অনেকেই। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর হয়ে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন জানান প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজু। তবে সঞ্জয় বলেন, “ক্ষমাভিক্ষা চাইব না। কোর্ট যে সময়সীমা দিয়েছে, তার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করব।” কিন্তু এক মাসের সময়সীমা ফুরোনোর ঠিক তিন দিন আগে সঞ্জয় আরও ছ’মাস সময় চান আদালতের কাছে। বেশ কিছু ছবি অসমাপ্ত রয়েছে, সেগুলির কাজ শেষ করতেই তাঁর এই আবেদন। আদালত তাঁকে ছ’মাসের বদলে আরও এক মাস সময় দেয়। ১৬ মে পূর্ণ হবে সেই অন্তিম সময়সীমা।
সঞ্জয়ের আইনজীবীরাও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট যে পুনর্বিচার করে দেখবে না, তা প্রত্যাশিতই ছিল। এটা একটা “পূর্বনির্ধারিত উপসংহার।” সত্যিই তাই। আর কোনও পথ রইল না সঞ্জয়ের। এক মাত্র মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল যদি তাঁর সাজা মাফ করেন। বিচারের সংশোধনী আবেদনও জানাতে পারেন সঞ্জয়। কিন্তু তাতেও আপাতত জেলে যেতেই হচ্ছে মুন্নাভাইকে।
|
পুরনো খবর: জেলের পথে মুন্নাভাই |
|
|
|
|
|