রাজ্য সরকারের দু’বছর পূর্তি উৎসব শুরু হল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জানান, কবিগুরুর জন্মদিন থেকেই ওই উৎসব শুরু করা হল। আগামী ২১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। ওই ক’দিন ধরেই মঞ্চে গম্ভীরা, বাউল, মানব পুতুল, রণ পা, পাহাড়ের সংস্কৃতি, আদিবাসীদের সংস্কৃতির উপরে নানা অনুষ্ঠান হবে। এদিন স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র নৃত্য, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে। পাশাপাশি, গত দু’বছর ধরে রাজ্য সরকার ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যে কাজ করেছে তা প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবণ সংস্থার জন্য আলাদা স্টল হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দার্জিলিং থেকে শুরু করে কোচবিহার, মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারে যে কাজ হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এ বারে আমরা যতটা পেরেছি তা করা হয়েছে। সবটা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামীতে বৃহত্তর পরিসরে তা করা হবে।”
মংপুতে রবীন্দ্র গবেষণাগার তৈরির উদ্যোগ, পাহাড়ে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, টেবিল টেনিস-সহ খেলা নিয়ে যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের পুরস্কার, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য, বিবেকানন্দ ভবন উদ্বোধন-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রকল্পগুলি তালিকা করে টাঙানো হয়েছে। সেখানে প্রকল্পগুলির বরাদ্দ সহ খরচের হিসেব বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার প্রদর্শনী কক্ষ দুটি এ দিন সাজানোর কাজ চলছিল।
গৌতমবাবু বলেন, “সততার সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। তাতে বিরোধীদের অনেকে হতাশ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন। আমরা মানুষের সামনে সব তুলে ধরছি। কুৎসার জবাব মানুষ দেবেন।”
তিনি দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানের জন্য খুব কম খরচ হচ্ছে। শিল্পীদের অনেকেই টাকা নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, “সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। যা না থাকলে জাতির অবক্ষয় হয়। তাতে যা খরচ হচ্ছে তা খুব সামান্য।” এ দিনের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল উপস্থিত ছিলেন।
|