ইস্টবেঙ্গল-৬ (পেন, মেহতাব, লালরিন্দিকা, লোবো, বরিসিচ-পেনাল্টি, চিডি)
ইউনাইটেড সিকিম-০ |
আফসোস, হতাশা আর দীর্ঘশ্বাসছ’গোলে জেতার পরেও বুধবার ইস্টবেঙ্গল ড্রেসিংরুমের চেহারা ছিল যেমন!
পরাজিত দলের মতোই মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়ে বেরোচ্ছিলেন মেহতাব, চিডি, পেনরা। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সুভাষ ভৌমিকের চার্চিলের ঘরে আই লিগ ঢুকে পড়ায় যুবভারতীর এই সব ম্যাচ এখন স্রেফ নিয়মরক্ষার। হাফডজন গোলে জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় আদলবদলের সম্ভাবনা খুব কম। যদি না পুণে এফসি দুর্বল পৈলানের কাছে আটকে যায়। সেক্ষেত্রে হয়তো রানার্স হওয়ার সান্ত্বনা জুটবে লাল-হলুদের।
আক্ষেপই ম্যাচের পর ধরা পড়ল জয়ী কোচ মর্গ্যানের কথায়। “যদি ডেম্পো ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট না করতাম!...চার্চিল সুযোগ দিয়েছিল, আমরা কাজে লাগাতে পারলাম না...।” মেহতাবও বললেন, “এ বার অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। বাজে গোলও খেয়েছি। না হলে হয়তো আই লিগটা আসত।” |
ইউনাইটেড সিকিমের আবার অবনমন চূড়ান্ত বলে ভাইচুংয়ের দলের খেলাতেও লড়াইয়ের মানসিকতা ছিল না। কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল হজম করলেন অনোয়ার, সন্দেশরা। প্রথমার্ধে প্রতি দশ মিনিট অন্তর গোল করলেন পেন, মেহতাব, লালরিন্দিকা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল। লোবো, বরিসিচ (পেনাল্টি), চিডির। তাতেও মর্গ্যানের স্বীকারোক্তি, “আমার ছেলেরা একশো ভাগ ফিট ঠিকই। তবে মানসিক ভাবে ভাল জায়গায় নেই।”
ফার্গুসনের ২৭ বছরের জমানার সমাপ্তিতে ম্যান ইউ সমর্থকদের চোখের জলে ভাসার দিনই কয়েক হাজার মাইল দূরে অন্য এক ব্রিটিশ কোচের জন্য চোখের জল ফেলতে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। দুই গোলার্ধের দু’টো কান্না যেন মিলেমিশে একাকার। মাত্র তিন বছরে মর্গ্যান লাল-হলুদ জনতার মনে গভীর জায়গা করে নিয়েছেন। বোধহয় সে জন্যই ইস্টবেঙ্গল শিবির জুড়ে বাজছে মর্গ্যান-বিদায়ের করুণ সুর।
ইস্টবেঙ্গল: অভিজিত, রাজু, অর্ণব, নওবা, সৌমিক, মেহতাব, পেন, লালরিন্দিকা (লোবো), ইসফাক (সঞ্জু), চিডি, বরিসিচ। |