বুনো হাতির হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঝাড়গ্রামের সিমলি গ্রামে। মঙ্গলবার গভীর রাতের ঘটনা। মৃত অসিত মাহাতো (৪৪) এলাকায় তেলেভাজা ফেরি করতেন।
মঙ্গলবার রাতে অসিতবাবুর ভাইপো অমিতের বৌভাত ছিল। খাওয়া-দাওয়া সেরে রাত দু’টো নাগাদ বাড়ির কাছেই একটি ফাঁকা জায়গায় শৌচকার্যে যান অসিতবাবু। তখনই একটি বুনো দাঁতাল হাতি তাঁকে আক্রমণ করে।
|
অসিত মাহাতো।
—নিজস্ব চিত্র |
অসিতবাবুকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছড়ে মারার পর দেহটি একাধিক বার পিষে দেয় হাতিটি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে হাতিটি জঙ্গলে পালিয়ে যায়। সদ্য বিবাহিত অমিত বলেন, “কাছেই একটি পুকুরে কখনও-সখনও হাতিরা জল পান করতে আসে। কাকা তা জানতেন। মনে হয়, বিয়েবাড়ির চিৎকার-চেঁচামেচিতে হাতির উপস্থিতি কাকা বুঝতে পারেননি।”
অসিতবাবুর অকাল মৃত্যুর ফলে বিয়েবাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার সকালে বনকর্মীরা সিমলি গ্রামে এলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। বনকর্মীদের ঘিরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাতি তাড়ানোর জন্য বন দফতর যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। হাতি খেদানোর সরঞ্জাম যেমন, হুলা (মশাল) জ্বালানোর জন্য পোড়া মোবিল ও পটকা গ্রামবাসীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয় না। অসিতবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বন দফতর জানিয়েছে, ঝাড়গ্রামের বনাঞ্চলে তিনটি ‘রেসিডেন্সিয়াল’ হাতি সারা বছরই ঘুরে বেড়ায়। খাবার ও পানীয় জলের সন্ধানে গ্রামগুলিতে মাঝে মধ্যেই ঢুকে পড়ে ওই হাতি তিনটি। ঝাড়গ্রামের রেঞ্জ অফিসার পার্থপ্রতিম ত্রিপাঠী বলেন, “হাতিটি রেসিডেন্সিয়াল। হাতির হামলা ঠেকাতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মৃতের পরিবারকে নিয়মমাফিক এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |
চিতাবাঘকে খাঁচায়বন্দি করলেন বন কর্মীরা। ডুয়ার্সে নাগরাকাটা লাগোয়া বামনডাঙা বাগান এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ওই বুনোটি ধরা পড়ে। পরে সেটা গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হয়। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, বুনোটি সুস্থ থাকায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনদিন আগে বামনডাঙা চা বাগানের ডায়না লাইনে দুই যুবককে জখম করেছিল এই চিতাটি। |