বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মিনি ট্রাক উল্টে মৃত্যু হয়েছে চার কনেযাত্রীর। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম লতা দলুই (৫৫), অনিমা মল্লিক (২৮), রঞ্জিত বাগ (৫৫) ও ময়না শী (২৬)। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ইন্দাসের কুমনো পলাশডাঙায়। ইন্দাসের দেউলি থেকে খণ্ডঘোষের রূপসায় ফিরছিলেন ৩৫ জন কনেযাত্রী। তাঁরা সকলেই কমবেশি আহত। তাঁদের মধ্যে ২২ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চার জনকে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। |
বর্ধমান মেডিক্যালে আহতেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
আহত যাত্রী মিতা মল্লিক, ছোটু সাঁতরারা বলেন, “আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই গাড়িটি বিকট শব্দ করে উল্টে যায়। পিছনে একটি মিনিট্রাকে আরও কিছু যাত্রী বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। তাঁরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন। গোলামালের মধ্যে উল্টে যাওয়া মিনি ট্রাকের চালক ও খালাসি পালিয়ে যান।” স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনিমাদেবীর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তির পরে মারা যান রঞ্জিতবাবু ও লতাদেবী। এসএসকেএমের পথে মৃত্যু হয় ময়নার।
|
ক্যান্টিন মালিকের কাছে টাকা চাওয়ায় অভিযুক্ত দুই নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ক্যান্টিন মালিকের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ ও টিএমসিপি নেতা প্রশান্ত সরকারের বিরুদ্ধে। শশী পাল নামে ওই ক্যান্টিন মালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতর ও বর্ধমান থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই দুই নেতা অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। শশীবাবুর অভিযোগ, তিনি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ক্যান্টিন চালাতেন। আচমকা তাঁর কাছে সন্তুবাবুরা এসে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি তা দিতে না পারায় তাঁর ক্যান্টিন ভাঙচুর করে মালপত্র সমেত উচ্ছেদ করা হয়। পরে তিনি ওই টাকা জোগাড় করে সন্তুবাবুদের দিলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ক্যান্টিন চালাতে দেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি। শশীবাবু অভিযোগ করেন, এর কিছু দিন পরেই ওই দুই ছাত্রনেতা তাঁর কাছে আবার এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি তা দিতে না পারায় ফের উচ্ছেদ করা হয় বলে অভিযোগ। এখনও টাকা চেয়ে তাঁকে উত্ত্যক্ত ও নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ক্যান্টিন মালিক। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বুধবার বলেন, “আমি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাইনি। তাই চিঠি না দেখে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।” উপাচার্যের দফতরে জমা দেওয়া ওই লিখিত অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রেজিস্ট্রারকে। রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুনেছি, শশীবাবু একটি অভিযোগ করেছেন। তার প্রতিলিপি পাইনি। তবে এই ঘটনা ছ’মাস আগে ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে কেন অভিযোগ করেননি, তা নিয়ে বিস্ময় দেখা দিয়েছে।” অভিযুক্ত সন্তুবাবু ও প্রশান্তবাবুর অবশ্য দাবি, “এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা জানি না। মিথ্যা কলঙ্ক লাগানো হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |