|
|
|
|
লোধাদের শংসাপত্র দিতে শুরু হল শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বয়স ৬৫। অথচ জাতিগত শংসাপত্র পাননি লোধা সম্প্রদায়ের সোমবারি নায়েক। একই বয়সের সনাতন নায়েক, বছর পঞ্চান্নর সন্ধ্যা মল্লিকেরও একই অবস্থা। কেউ বিপিএল তালিকাভুক্ত। কেউ বার্ধক্য ভাতা পান। কিন্তু জাতিগত শংসাপত্র পাননি। এ নিয়ে লোধাদের সংগঠন অনেক আন্দোলন, দরবার করেছে। তার জেরেই শিবির করে লোধাদের জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শিবির শুরু হতেই সেখানে হাজির হয়েছেন সন্ধ্যা, সনাতনদের মতো শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।
|
|
চলছে লোধাদের আবেদনপত্র সংগ্রহের কাজ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মঙ্গলবার খড়্গপুর ২ ব্লকের সাঁকোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনই শিবির হল। সেখানে সাঁকোয়া, অমরসুরপুর, চক আবদুল্লা-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোধা সম্প্রদায়ের মানুষজন হাজির হন। চক আবদুল্লার শুভ্রা প্রামানিক বলেন, “জাতিগত শংসাপত্র সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এটা যে জরুরি এখন বুঝেছি। কিন্তু কোথায় আবেদন জানাব, জানালে পাব কিনা, সংশয় ছিল।” জাতিগত শংসাপত্র পেতে জমির দলিল লাগে। লোধারা জঙ্গলবাসী। বন দফতরের জমিতেই তাদের বাস। ফলে, বেশিরভাগেরই জমির দলিল নেই। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরে লোধা জনসংখ্যা ৬১ হাজার ৩৩৬। পরিবার ছিল ১৫ হাজার ২৬২। বর্তমানে সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু কতজনের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে তার পরিসংখ্যান নেই প্রশাসনের কাছে। লোধা সংগঠনগুলির দাবি, ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষের শংসাপত্র নেই।
সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি শংসাপত্র দেওয়ার পদ্ধতি কিছুটা সরলীকরণ করতে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির দলিল না থাকলেও অন্য পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে এ বার জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হবে। এ জন্য লোধা অধ্যুষিত প্রতিটি ব্লকে শিবির করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “লোধাদের যাতে জাতিগত শংসাপত্র অসুবিধেয় পড়তে না সে জন্যই এই উদ্যোগ।” বর্তমানে চলছে আবেদনপত্র সংগ্রহের কাজ। আবেদনপত্র পরীক্ষার পর শংসাপত্র বিলি শুরু হবে। খড়্গপুর ২-এর বিডিও সোমা দাস বলেন, “প্রথম দিনেই প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি আবেদনকারী শিবিরে এসে শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।”
|
পুরনো খবর: লোধাদের দ্রুত শংসাপত্র দিতে শিবিরে জোর |
|
|
|
|
|