দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট, কর্নাটকে
ঝুলছে অশ্বিনী-পবনের ভাগ্য
সুপ্রিম কোর্টের রায় কি তাঁর বিপদ আরও বাড়াবে? মঙ্গলবার সংসদে আইনমন্ত্রী। ছবি: পি টি আই।
কিন্তু অশ্বিনী কুমারকে নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতান্তর রয়েছে বলেও কংগ্রেসের একটা অংশের মত। দলের কোর গ্রুপের বৈঠকে অশ্বিনীর ভূমিকা নিয়ে সনিয়া গাঁধী আজও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালত যদি অশ্বিনীর সমালোচনা করে, তবে তাঁর বিদায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানান, কর্নাটকের ফল প্রকাশের পর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সংগঠনে বড় রদবদল হবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভার রদবদলও করে ফেলতে পারেন সনিয়া, মনমোহন, রাহুল। শীর্ষ আদালতের রায় অশ্বিনীর বিরুদ্ধে গেলে তখন তাঁঁকে ছেঁটে ফেলা হবে।
সরকারের অবশ্য আশা যে, সরাসরি অশ্বিনীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলবে না। এক মন্ত্রীর যুক্তি, ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক তদন্তকারী অফিসার তাঁর তদন্ত রিপোর্ট একমাত্র আদালত ছাড়া অন্য কাউকে দেখাতে বাধ্য নন। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই ডিরেক্টরকে প্রশ্ন করতে পারে, তা হলে তিনি রিপোর্ট সরকারের কর্তাব্যক্তিদের দেখাতে গেলেন কেন? আইনমন্ত্রীর নির্দেশ তিনি প্রত্যাখ্যান করতেই পারতেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই যে ভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার কথা বলেছে, তাতে এই যুক্তি তারা কতটা মানবে, তা নিয়ে সরকারেরই একটা অংশ সংশয়ী।
কংগ্রেস যখন দুর্নীতির প্রশ্নেই বিজেপি-কে পাল্টা কোণঠাসা করার কৌশল নিচ্ছে, তখন পাল্টা ঘর গোছাচ্ছে প্রধান বিরোধী দলও। তাদের মতে, কর্নাটকে দল পর্যুদস্ত হলেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অস্ত্র কোনও ভাবেই ভোঁতা হবে না। এমনকী, পবন বনশলকে সরিয়েও সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পাবে না কংগ্রেস। বরং বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দুর্নীতি নিয়ে দেশ জুড়ে এমন স্পর্শকাতরতা তৈরি হয়েছে যে আগামি লোকসভা ভোটে সেটাই নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। এই আশা থেকেই অশ্বিনী ও পবনের ইস্তফার দাবিতে সংসদ অচল করে রেখেছে বিজেপি। এই দাবি মানা না-হলে খাদ্য সুরক্ষা এবং জমি বিল পাশ করাতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে তারা।
আজ সকালে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমল নাথ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এ ভাবে সংসদ অচল থাকলে অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তার পরেই কংগ্রেস কোর গ্রুপের বৈঠকে সনিয়া জানান, তার প্রশ্নই ওঠে না। সংসদ চলার কথা ১০ মে পর্যন্ত। ওই দিন পর্যন্ত সরকার খাদ্য বিল পাশ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিজেপি তাতে লাগাতার বাধা দিয়ে গেলে সেটাই হবে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অস্ত্র। কংগ্রেস তখন বলতে পারবে, মানুষের খাদ্যের অধিকারটুকু সুনিশ্চিত করতে দিল না বিজেপি। কংগ্রেসের এই রাজনীতি বিজেপি-কেও কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সূত্রের খবর, দু’পক্ষে রফার একটা চেষ্টাও শুরু হয়েছে তলে তলে। আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে সনিয়ার সঙ্গে বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের অনেকক্ষণ কথা হয়। তাঁরা পরস্পরকে আলিঙ্গনও করেন। পরে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেন, কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, পবন বনশলকে সরানো হবে। তার বদলে খাদ্য সুরক্ষা বিল পাশ করতে দেওয়া হোক। যদিও এ ব্যাপারেও চূড়ান্ত কিছু এখনও হয়নি। সবটাই নির্ভর করছে আগামিকালের জোড়া রায়ের উপর।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.