আগ্রহীদের আগামী জুন মাস থেকে স্বেচ্ছাবসর দিতে উদ্যোগী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) কর্তৃপক্ষ। আবেদনকারীদের মধ্যে ৬১২ জনের নামের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে জুন মাস থেকে তিন দফায় ওই কাজ চলবে। নিগমের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখে ১ জুন থেকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ফের প্রকল্পে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনও প্রশ্ন নেই।” ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়দেব ঠাকুর বলেন, “স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে ৬১২ জনের তালিকা চূড়ান্ত। রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হবে।”
সংস্থার কর্মীর ভার কমাতে ১৪ নভেম্বর স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। নিগমের ৫০ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সী স্থায়ী কর্মীরা এ প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। প্রাথমিক ভাবে আবেদন করার সময়সীমা বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে এক মাস বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তেমন সাড়া না মেলায় পরে তা বাড়ানো হয়। ৬৮৭ জনের আবেদন জমা পড়ে। সম্প্রতি নিগমের প্রশাসনিক কমিটির বৈঠকে ৬১২টি প্রকল্পের আবেদন আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিগমের পরিচালন বোর্ড সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিজ্ঞপ্তি জারির পরে আবেদনকারীদের মধ্যে ৩ জন মারা যান। ৫৯ জনের বয়স ৫০ বছরের কম। ছয় মাস বা তার কম সময় চাকরি আছে এমন কর্মীর সংখ্যা ১৩ জন। ৭৫টি আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। আবেদন গৃহীত হওয়া কর্মীদের তালিকা পরিবহণ দফতরে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।” কয়েক জন কর্তা জানান, সংস্থায় স্থায়ী কর্মী সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। মাসে বেতন দিতে গড়ে ১২ কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ কর্মী ও বাসের আনুপাতিক হারও যথেষ্ট বেশি। তাই আর্থিক বোঝা কমাতে ৫০ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সী কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হয়। যে সব কর্মী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন তাঁদের অবসর গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে নিগম কর্তাদের দাবি। প্রশ্ন উঠেছে প্রতি মাসে বেতন দিতে গিয়ে যেখানে সংস্থা বিপাকে সেখানে স্বেচ্ছাবসরের এত টাকা কেমন করে মেটানো হবে? কার্যত ওই সংশয়ের জন্য বয়সসীমার মধ্যে প্রায় দু’হাজার কর্মী থাকলেও ওই প্রকল্পে তেমন সাড়া মেলেনি। |