উত্তরবঙ্গের কলেজে গ্রীষ্মের
ছুটিতে হাজিরা দিতে নির্দেশ শিক্ষকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতে গরমের ছুটির সময়েও শিক্ষকদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চিঠি পাঠিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময় ক্লাস বা কলেজে পড়াশোনা বন্ধ থাকবে। শিক্ষকদের অবশ্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে, অন্য কাজ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটার) জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কোচবিহার জেলাশাখার তরফে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তারা স্মারকলিপিও দেয়। আগের মতোই গরমের মরসুমে ছুটির দাবি জানান তাঁরা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার দাস বলেন, “সরকারি ভাবে আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তা যাতে যথাযথ মানা হয় সে জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিষ্ণুপ্রসাদ দ্বিবেদী জানান, তাঁর কাছেও শিক্ষকেরা এসে এ ব্যাপারে তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে ছিলেন। গত ২২ মার্চ কর্ম সমিতির সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সরকারি নিয়মে ১৮০ দিন শিক্ষকদের ক্লাস করাতে হবে। তার সঙ্গে অন্য ছুটি হিসাব করেই গরমের এই সময় শিক্ষকদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। রেজিস্ট্রার বলেন, “রাজ্যে ২০০৯ সালেই এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই নিয়ম মানার বিষয়টি সম্প্রতি চিঠিতে জানানো হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রই জানিয়েছে, গরমের সময় বিএ, বিএসসি, বিকমের বিভিন্ন পরীক্ষাগুলি হয়ে থাকে। এমনিতে গরমের সময় ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কলেজ ছুটি থাকে। তবে পরীক্ষা বা কোনও কাজ থাকলে শিক্ষকদের আসতে হত। এ বার ওই সময় প্রতিদিন হাজিরা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওয়েবকুটার তরফে জয়দীপ সরকার, তাপস সরকাররা জানান, গরমের সময় আগে যেমন কলেজ ছুটি থাকত সেটাই চালু করা হোক। এই দাবির বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন ওয়েবকুটার তরফে অন্য যে সব দাবির কথা জানানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এক দিনে ৩ দফায় পরীক্ষার বদলে দু’দফায় পরীক্ষা, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় তারা যে পারিশ্রমিক পান তা বাড়ানোর দাবি। এ ছাড়াও, কর্ম জীবনে ৩০০ ইএল জমানোর সুবিধা দেওয়া, বিএ, বিএসসি, বিকমের নতুন সিলেবাস চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। |