চামুর্চিতে মোর্চা ছেড়ে কংগ্রেসে শতাধিক সমর্থক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কোনও ভাবেই বাংলা ভাগের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না বলে ফের বার্তা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। সোমবার ডুয়ার্সের চামুর্চিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ওই বার্তা দেন। ঘটনাচক্রে, ওই সভাস্থলেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শতাধিক সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এক সময়ে মোর্চা এবং অনান্য আঞ্চলিক শক্তির দাপটে চামুর্চিতে কংগ্রেসের সংগঠন ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি মোর্চা ও অন্য দলগুলি ছেড়ে হাজারের ওপর কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে ফিরেছেন। চামুর্চিতে দলের শক্তিও বেড়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “কংগ্রেস কখনও বাংলা ভাগের পক্ষে ছিল না, থাকবেও না। কোনও ভাবেই বাংলা ভাগের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।” তাঁর পরামর্শ, “একসঙ্গে থেকে শান্তি বজায় রাখতে পারলেই উন্নয়নের পরিবেশ আসবে।” |
চামুর্চিতে কংগ্রেসের সভা। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
যদিও মোর্চার তরফে তাদের সমর্থকদের এ দিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিনের সভায় প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন হোসেন, প্রদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাহুল রায়ও উপস্থিত ছিলেন।
নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি একসময়ে ডুয়ার্সের মোর্চা অধ্যুষিত এলাকায় প্রদেশ নেতাদের এনে সভা করে তৃণমূলকেও বার্তা দেওয়া হল বলে রাজনৈতিক নেতারা অনেকে মনে করছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডুয়ার্সের প্রথম সারির মোর্চা নেতারা কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে ডুয়ার্সের চামুর্চিতে সভা করে নারী মোর্চার ডুয়ার্সের নেত্রী সহ প্রায় আড়াইশো সমর্থককে দলে টানে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহন বসু বলেন, “একসময়ে যে চামুর্চিতে দলের পতাকা ধরার লোকই ছিল না, এখন সেখানে জনসভায় ভিড় উপচে পড়ছে। সকলেই বুঝতে পেরেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলেই উন্নয়ন হবে।” |