বিধি ভেঙে নিয়োগের অভিযোগে বেতন বন্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ক্ষু্দ্রসেচ নিগমে নিয়ম ভেঙে নিয়োগের অভিযোগে এপ্রিল থেকে ৩৮ জন কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের পোষ্য হিসেবে ২০১১ সালে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। শ্রম দফতরের কর্তারা জানান, পোষ্যদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে নিয়োগ করাটাই নিয়ম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দফতরের নিয়ম ভেঙে ক্ষুদ্রসেচ দফতরে তৃতীয় শ্রেণির কর্মী হিসেবে ওই ৩৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষুদ্রসেচ নিগমকে জানানো হয়। একই কারণে ওই কর্মীদের এপ্রিলের বেতনও আটকে আছে। বেতন বন্ধ থাকায় আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউনিফায়েড)। সংগঠনের নেতা শঙ্কর রায় বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে গত দেড় বছরে ওই কর্মীদের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রশ্ন তুলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বক্তব্য, বাম আমলে নিয়ম ভেঙে ওই ৩৮ জনকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মী-পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “ওঁদের বেতনের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” |
বিলে ছাড়পত্র নিয়ে দিল্লিতে তদ্বির অমিতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কার্যত নজিরবিহীন ভাবে গত কাল বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই রাজ্যপালের বিলে অনুমোদন জোগাড় করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অযথা দেরি এড়াতে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খোলা মাত্রই লগ্নি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিলটি জমা দিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। বিলটি যাতে দ্রুত কেন্দ্রের ছাড়পত্র পায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের কাছে তদ্বির করেন অমিতবাবু। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। তাই কেন্দ্র দ্রুত বিলটিতে ছাড়পত্র দিলে আইন প্রণয়ন করতে সুবিধা হবে রাজ্যের। রাজ্যের অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির দৌরাত্ম্য রুখতে তড়িঘড়ি রাজ্য বিধানসভায় বিলটি পাশ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সে সময়ে বিদেশে ছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রবিবার দুপুরে তাঁর দিল্লি হয়ে কলকাতা ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য যে দেরি করতে চায় না, সেই বার্তা দিতে শনিবারই অমিতবাবুকে দিল্লি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা। গত কাল বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই বিলে রাজ্যপালকে দিয়ে সই করিয়ে নেন অমিতবাবু। যে ঘটনাকে আজ নিজেই ‘ঐতিহাসিক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বিলটি পৌঁছে দেন রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পর বিলটি অর্থ মন্ত্রক, আইন ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে যাওয়ার কথা। সব শেষে বিলটিতে অনুমোদন দেবেন রাষ্ট্রপতি। |
বদলি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে দু’বার বদলি করেছিল সরকার। সেই বদলির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট-এর দ্বারস্থ হন আইএনটিইউসি অনুমোদিত সরকারি কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা সঙ্কেত চক্রবর্তী। সঙ্কেতবাবুকে বদলির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সোমবার সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। ওই কর্মী-নেতা এ দিন বলেন, “এই নির্দেশে প্রমাণ হল, সরকার বেআইনি কাজ করেছিল।” মহাকরণ সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ৩১ মে সঙ্কেতবাবুকে পরিবহণ দফতর থেকে খাদ্য বিপণন দফতরে বদলি করা হয়। তার ছ’মাস পরে, ৫ নভেম্বর তাঁকে বদলি করা হয় পরিকল্পনা দফতরে। তার পরেই ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন সঙ্কেতবাবু। |
লগ্নি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব সমীরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সারদা-সহ সব অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানাল পিডিএস। মহাকরণে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পিডিএস নেতা সমীর পূততুণ্ড প্রস্তাব দিয়েছেন, সারদা-কাণ্ডের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে কাজ করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, তা হাতছাড়া করা উচিত হবে না। বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীরা এখন টাকা ফেরত চাইছেন। সংস্থাগুলিও বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করছে, দায় মেটানোর মতো যথেষ্ট সম্পদ তাদের হাতে আছে। সমীরবাবুদের যুক্তি, এই অবস্থায় সবক’টি সংস্থার সম্পদ এবং আমানতকারীদের লগ্নির হিসাব সংগ্রহ করে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়ায়
কার্যকরী ভূমিকা নিক রাজ্য সরকার। সমীরবাবু বলেন, “লিখিত ভাবেই আমাদের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দিয়েছি।” অবিলম্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা এবং বীরভূমের লোবার খনি প্রকল্পের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানানো হয়েছে পিডিএসের দাবিপত্রে। |