অতিরিক্ত পণের জন্য এক বধূকে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে ৭ বছর কারাদণ্ড হল স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদের। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শ্যামলেন্দু ঘোষাল খাতড়ার জলডোবরা এলাকার বাসিন্দা তাপস রায়চৌধুরী, তাঁর মা গায়ত্রী রায়চৌধুরী, দাদা লালু ও বোন কৃষ্ণাকে এই সাজা দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের ১১ মার্চ জলডোবরা এলাকায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন রিঙ্কু রায়চৌধুরী নামে এক বধূ। তাঁর বাপের বাড়ি খাতড়া থানার নগড়ি গ্রামে। পরের দিন মৃতার বাবা নিখিলবরণ পাত্র খাতড়া থানায় রিঙ্কুর স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। নিখিলবাবুর অভিযোগ ছিল, বিয়ের সময় সাধ্যমতো যৌতুক দেওয়ার পরেও অতিরিক্ত পণের জন্য তাঁর মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অত্যাচার সইতে না পেরে রিঙ্কু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। সরকার পক্ষের এক আইনজীবী জানান, অতিরিক্ত পণের জন্য ওই বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। |