সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত-সহ নানা দাবিতে সোমবার বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা মোড়ে সভা করল বামফ্রন্ট। সভার পাশাপাশি বামফ্রন্টের তরফে বাঁকুড়া জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ দে, আরএসপির জেলা সম্পাদক মদন মাহাতো-সহ আরও অনেকে। |
অমিয়বাবুর দাবি, “সারদা-কাণ্ডে অবশ্যই সিবিআই তদন্ত চাই। পাশাপাশি যে সমস্ত গরিব মানুষের টাকা গিয়েছে তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের দেখেই সারদায় টাকা রেখেছিলেন। তাই দায় তারা এড়াতে পারে না।” তাঁর অভিযোগ, “দিল্লিতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে বামফ্রন্ট তার তীব্র বিরোধিতা করেছিল। এর পরেও শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই ৪৫টি পার্টি অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। আমরা থানায় অভিযোগও করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। উল্টে সিপিএম নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়।” পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ দিনের সভার জেরে মাচানতলার তেমাথা মোড়ে এসপি অফিসের সামনের রাস্তাটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। অফিসের সময়ে যানজটে নাকাল হন বহু সাধারণ মানুষ। তাই অফিসের সময়ে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করে দলীয় সভার অনুমতি কেন দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। অমিয়বাবু অবশ্য বলেন, “ওই রাস্তায় এমনিতে যান চলাচল কম। ঘুরপথেও গন্তব্যে যাওয়ার রাস্তা আছে। এর আগেও এই জায়গায় বহু রাজনৈতিক সভা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই সভা করেছি।” আজ, মঙ্গলবার ওই একই জায়গায় সভা করার কথা তৃণমূলের। তাই ফের যানজটের আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। তবে তৃণমূলের জেলা কো-চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তীর আশ্বাস, “আমরা জনসভা করব। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনও রকম অসুবিধা হতে দেব না।” |