|
|
|
|
এটিএম সংস্থার কর্তা পুলিশি হেফাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত এটিএম গ্রুপের ডিরেক্টর প্রদীপ দাসকে দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। রবিবার হুগলির শ্রীরামপুর থেকে প্রদীপবাবুকে গ্রেফতার করেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে সংস্থার বেশ কিছু নথিপত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে।
|
ঝাড়গ্রাম আদালতে
ধৃত এটিএম গ্রুপের
ডিরেক্টর
প্রদীপ দাস। |
সোমবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে প্রদীপবাবুকে দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তের আইনজীবী তপন চৌধুরী এ দিন আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের স্পাইন্যাল কর্ডের সমস্যা রয়েছে। প্রদীপবাবুর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁর পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ কমানোর আবেদন জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। সরকারি কৌঁসুলি কণিষ্ক বসু বলেন, “তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।” পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তকে যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেন সরকারি কৌঁসুলি। এরপরই বিচারক সুপর্ণা রায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন প্রদীপবাবুকে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
ঝাড়গ্রাম শহরের এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার এটিএম গ্রুপের ঝাড়গ্রাম শাখার ম্যানেজার বিদ্যুৎ মাইতি-সহ চার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই চার জনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। জঙ্গলমহলের আমানতকারীদের থেকে এটিএম গ্রুপ প্রায় ৬ কোটি টাকা তুলেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এটিএম গ্রুপ ঝাড়গ্রাম শাখার এজেন্টদের কমিশনের টাকাও আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সঞ্চিতা দাস নামে এক এজেন্টের কমিশনের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামী সমীর দাস। কয়েকদিন আগে সমীরবাবু ঝাড়গ্রাম থানায় সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন ওই মামলাতেও প্রদীপবাবুকে যুক্ত করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|