|
|
|
|
সমবায় ভোটে মনোনয়নে বাধা বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ফের সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে ডিরেক্টর পদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে তৃণমূল সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন ব্যাঙ্কের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক গোপাল মাইতি। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন ছিলেন। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তিন জন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও বাকি ন’টি আসনে বামেদের কেউ মনোনয়ন পত্র দেননি। এর আগে তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ১২টি ডিরেক্টর পদের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। গোপালবাবুর অভিযোগ, “সকাল ১১টা নাগাদ আমি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের অফিসে ঢুকতে গেলে জনা পঞ্চাশেক তৃণমূল সমর্থক বাধা দেন। আমাকে জোর করে ঠেলে ফিরিয়ে দেন ওরা। তখন আমি জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই। পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে তমলুক থানার পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় দুপুর ২টোয় মনোনয়নপত্র জমা দিই। তৃণমূলের বাধাতেই বাকি আসনে মনোনয়ন পত্র তুলতে পারেনি কেউ।” তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ওখানে আমাদের দলের লোকজন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য ছিল ঠিকই। কিন্তু গোপালবাবুকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। গোপালবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।”
জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘গোপালবাবুকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ এসেছিল, তা তেমন গুরুতর কিছু নয়। উনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|