বিএডের ফি বৃদ্ধি নিয়ে ফের জটিলতা
বিএডের ‘ফি’ বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বেসরকারি বিএড কলেজগুলি। ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি বছরে ছাত্র পিছু ৬৫ হাজার টাকা ফি ধার্য করতে হবে। সেই সঙ্গে ছাত্র ভর্তিতে ১০ শতাংশ ‘ম্যানেজমেন্ট কোটা’ রাখতে হবে। ‘ফি’ সংক্রান্ত জটিলতা মেটাতে সোমবার একটি বৈঠকও ডেকেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বেসরকারি কলেজগুলির প্রতিনিধিরা অধিকাংশই আসেননি। উপাচার্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাইরে ছিলেন। ফলে, কোনও সিদ্ধান্তও হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রণজিৎ ধর বলেন, “ফি সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে বেশিরভাগ কলেজের প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত থাকায় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্য আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু বেসরকারি কলেজগুলি বৈঠকে অংশ নিল না কেন? সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরুণাভ মণ্ডল বলেন, “বৈঠকে কলেজের অধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছিল। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষরা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন ঠিকই কিন্তু বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষরা কেবল পঠনপাঠন ও শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে ভাবেন। আর্থিক বিষয়টি তাঁদের আওতায় পড়ে না। আমরা চাই, বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে তাঁদের মালিকদের ডাকুক বিশ্ববিদ্যালয়। তবেই আমরা আমাদের দাবি জানাতে পারব।”গত বছরই বিএডের ফি বৃদ্ধির দাবিতে জোরদার আন্দোলন হয়েছিল। প্রথমের দিকে বেসরকারি বেশ কয়েকটি কলেজ কাউন্সেলিংও অংশ নেননি। পরে আলোচনার ভিত্তিতে ছাত্র পিছু ৪৩ হাজার টাকা ফি ধার্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি বেশিরভাগ কলেজই নেয়নি। রসিদে ৪৩ হাজার টাকা লেখা থাকলেও অন্য ভাবে বেশি টাকা দাবি করা হয়েছিল। বেসরকারি কলেজের মালিকদের কথায়, “এনসিটিই-র নিয়ম মেনে কলেজ চালাতে গেলে ওই কম টাকায় ছাত্র পড়ানো সম্ভব নয়। দিনদিন সব ক্ষেত্রেই খরচ বাড়ছে। ফি বৃদ্ধি না করলে চলবে কী ভাবে?” চলতি শিক্ষাবর্ষে ১৪ মে থেকে বিএডের কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই একটি মেধা তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। ১০ মে চুড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী কাউন্সেলিং করে ছাত্র ভর্তি করা হবে। ফলে হাতে বেশি সময়ও নেই। তাই সোমবার ফি সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে বৈঠক ডেকেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেসরকারি কলেজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় বৈঠকে কোনও আলোচনাই করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের বৈঠক ডাকা হবে। আলোচনার মাধ্যমে ফি নির্ধারণও করা হবে। বেসরকারি কলেজ মালিকদের দাবি, ফি সংক্রান্ত জটিলতা না মিটলে তাঁরা কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেবেন না। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ২৩টি বিএড কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি সরকারি। বাকি সবই বেসরকারি। ফলে বেসরকারি কলেজগুলি এভাবে এক রোখা মনোভাব দেখালে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুধু কলেজ মালিকদের মুনাফা দেখলে তো হবে না, ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টিও ভাবতে হবে। যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা দেখেই ফি নির্ধারণ করা হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.