ঘরের মাঠে নামো। জেতো। আর পয়েন্ট বাড়াও। পেপসি আইপিএলে প্লে অফের দৌড়ে এটাই যেন ক্যাচলাইন। আর সেই মন্ত্রেই এখনও বেঁচে রইল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
কী অবস্থা প্লে অফে ওঠার দৌড়ে? দেখা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু, মুম্বই, রাজস্থান, হায়দরাবাদ এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে হারেনি। ফলে যাদের হোম ম্যাচের সংখ্যা বেশি, তাদের সম্ভাবনা বেশি উজ্জ্বল।
প্রায় নিশ্চিত চেন্নাই সুপার কিংস: ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। প্রতিপক্ষের ডেরায় গিয়ে চার-চারটে (মোহালি, কলকাতা, দিল্লি, পুণে) যারা ম্যাচ বার করতে পারে, সেই ধোনির সিএসকে লিগের প্রথম চার দলের মধ্যে থেকে প্লে-অফে যাবে ধরেই নেওয়া যায়। চেন্নাইয়ের বাকি চার ম্যাচের (সানরাইজার্স, রাজস্থান, দিল্লি, বেঙ্গালুরু) মধ্যে তিনটেই বাইরে। কিন্তু দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকেই পাবে ঘরের মাঠে। সেক্ষেত্রে ওই একটা ম্যাচ জিতলেই সিএসকে ২০-র ‘কাট পয়েন্টে’ পৌঁছে যাচ্ছে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। খেলা বাকি দিল্লি, কেকেআর, কিংস ইলেভেন আর চেন্নাইয়ের সঙ্গে। ঘরে দু’টো, বাইরে দু’টো। ঘরের মাঠে দুটো জিতলে ২০ পয়েন্ট ক্রিস গেইলদের পকেটে। অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রতিপক্ষ দিল্লি আর কেকেআর।
আর যারা লড়াইয়ে— মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স: তিন টিমেরই ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট।
তেন্ডুলকরদের বাকি পাঁচটা ম্যাচের মধ্যে তিনটেই ঘরের মাঠে কেকেআর, সাইরাইজার্স, রাজস্থান রয়্যালস। এমআই ওই তিনের দুটো জিততে পারলেও ১৮ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। অ্যাওয়ে ম্যাচে একটায় পাচ্ছে পুণেকে। ২০-র কাট পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়া তেমন কঠিন নয়।
ঘরের মাঠে এখনও অপরাজিত দ্রাবিড়-বাহিনী আবার জয়পুরে পাবে দিল্লিকে। অন্য হোম ম্যাচটা অবশ্য চেন্নাইয়ের সঙ্গে। বাইরেও খেলা বাকি মুম্বই, সানরাইজার্সের মতো ফর্মে থাকা দলের বিরুদ্ধে। পঞ্চম প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন। ২০ পয়েন্টে পৌঁছনো একটু কঠিন হলেও ১৮ পয়েন্ট হতেই পারে। তা হলেও প্লে অফে যাওয়া সম্ভব।
এখনও হোমে অপরাজিত সাইরাইজার্সের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটেই উপ্পলে। প্রতিপক্ষ রাজস্থান, বা মুম্বই যেমন আছে, তেমনই আছে কেকেআর! পাঁচটার মধ্যে দু’টো জিতলেও ১৮ পয়েন্টে শেষ করবে। পঞ্জাব এ দিন অবিশ্বাস্য জয় পেলেও ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে প্লে অফের দৌড়ে পিছিয়ে। |