খেলাধুলো করার উদ্দেশ্যই হল জেতা। ধরেই নেওয়া যায়, বিশাল সংখ্যক সমর্থক খেলার মাঠে ভিড় করে তাদের প্রিয় দলের জয় দেখতে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সবাই-ই আমরা খেলাটা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা উপভোগ করি না।
আইপিএল হল অফুরান আনন্দের টুর্নামেন্ট। যেটা হাজার হাজার মানুষকে আকর্ষিত করে শুধু তাদের প্রিয় দলের জয় দেখতেই নয়। গোটা শো-টা দেখে তৃপ্ত হওয়ার জন্যও। আমি ভাবতেও পারি না কেকেআরের যদি প্লে অফে উঠতে না-পারাটা নিশ্চিত হয়ে যায়, তা-ও আমাদের খেলা দেখতে আগের চেয়ে কম লোক মাঠে আসবে বলে!
কেকেআরের প্লে অফে ওঠার রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে যদি আমরা মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে যাই। আচ্ছা বলুন তো, এ মরসুমে আমি এর মধ্যেই কত বার বলেছি ‘এটা আমাদের বড় ম্যাচ’? তবে বাকি টুর্নামেন্টটা এখন আমাদের কাছে ‘কাপ ফাইনাল’ খেলার সমান। সোজা কথা, আমাদের এখন জিততে হবে...জিতেই চলতে হবে...টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত!
খেলাধুলোয় সাফল্যের পিছনে খেলাটা উপভোগ করতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভেঙে পড়া অবস্থায় কিংবা খুব বেশি সিরিয়াস ভঙ্গিতে খেলে জেতা কঠিন। গত দু’এক সপ্তাহ কি তা হলে আমরা জেতার জন্য খুব বেশি ফোকাসড্ ছিলাম? নাকি খেলাটাকে উপভোগ করার কথাটা মাঠে নেমে ভুলে গিয়েছিলাম? জানি না। তবে আমি নিশ্চিত, টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সপ্তাহগুলোয় এগুলো আমরা ভুলব না। আমাদের টিমের লিগের বাকি ক’টা ম্যাচ জেতার ক্ষমতা আছে। যতই কিনা তার পরেও লিগের সেরা চারটে টিমের মধ্যে থাকতে পারাটা আমাদের হাতে না থাকুক।
যখন কেউ মনে করে, ক্রিকেট মাঠে ঘটতে পারে এমন সব কিছু তার দেখা হয়ে গিয়েছে, তখনই এমন অদ্ভুতুড়ে কিছু এই খেলাটায় ঘটে, যেটা তাকে ভাবতে বাধ্য করে যে, এটা কস্মিনকালে সে দেখেনি। আমি নিশ্চিত, কায়রন পোলার্ডকে নিয়ে এখন যে ভিডিওটা চলছে তার চেয়ে ও অনেক বেশি খুশি বোধ করবে ইউটিউবে চলা ওর আগের ভিডিওগুলো নিয়ে। যেখানে ও মারা বিরাট বিরাট ছক্কাগুলোর রেকর্ডিং আছে। এক ম্যাচে এক জনের তিনটে ক্যাচ ফস্কানোর ঘটনা এমনিতেই বিরল। তার ওপর পরপর তিন বলে তিনটে ক্যাচ মিস! ওহ, বিরলতম! পোলার্ডের মতো উঁচুমানের ফিল্ডারের পক্ষে এমন কাণ্ড ঘটানোটা একেবারেই অবিশ্বাস্য। তবে পোলার্ডকে হাসতে দেখে আমি অবাক হইনি। এ রকম একটা কাণ্ড ঘটিয়ে এক জন আর কীই বা করতে পারে? আমি বরং ভাবছি, মঙ্গলবার আমাদের কেকেআরের বিরুদ্ধেও পোলার্ড আবার কভার পয়েন্টেই দাঁড়াবে কি না! তবে ওকে ওই পজিশনে দেখলে প্রতিটা কাট মারার সময় আমাকে নিশ্চিত থাকতে হবে যে, বলটা মাটিতে রয়েছে। কারণ পোলার্ডের গোটা টুর্নামেন্টেই ক্যাচ ফস্কানোর কোটা শেষ হয়ে গিয়েছে!
আর একটা সমপরিমাণ অবিশ্বাস্য ঘটনা যেটা অবশ্যই এখানে লেখা উচিতগল্ফে শেষ পর্যন্ত দুশখাতে-মর্গ্যান আমাকে আর ম্যাকলারেনকে হারাতে পেরেছে। গল্ফকোর্সে আমাদের জুটির প্রথম হার। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কয়েকটা বল ওরা পা দিয়ে মেরে হোল-এ ফেলেছে কি না! বা, কয়েকটা শট গুনতে ভুল করেছে কি না! নাকি, এটা নিছক আইরিশ-ভাগ্য! ডাচ-লাক!
তবে বদলার একটা হাওয়া কিন্তু বইছে!
|