আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্তকে আদালতের পথে পুলিশের গাড়িতেই নিগৃহীত হতে হল।
সিপিএম পার্টি অফিস থেকে বোমা উদ্ধারের অভিযোগে ধৃত বিনয়বাবু-সহ দলের আরও চার নেতাকে সোমবার সকালে আরামবাগ আদালতে তোলা হয়। সে সময়ে মূল ফটকের কাছেই জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা পুলিশের গাড়ির জানলার ফাঁক দিয়ে লাঠির খোঁচা মারার চেষ্টা করেন সিপিএম নেতাদের। জুতো দেখানো হয়। বিনয়বাবুরা অবশ্য কেউ আহত হননি।
তৃণমূল ও পুলিশের ভূমিকার ‘তীব্র নিন্দা’ করে জেলা সিপিএম সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “পুলিশ লাগাতার আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে।” এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১০ মে চুঁচুড়ার আখনবাজারে জেলা বামফ্রন্ট গণ জমায়েতের ডাক দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকা অশান্ত করতেই বিনয় দত্তেরা বোমা জড়ো করছে। সিপিএমের দলীয় কার্যালয়গুলিতে তল্লাশি চালালে আরও অস্ত্র উদ্ধার হবে।” কোর্ট চত্বরে ধৃতদের হেনস্থা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “গণরোষে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”
সিপিএমের দাবি, কার্ল মার্কসের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি ঠিক করতে রবিবার কালীপুরে সিপিএম শাখা অফিসের ভিতরে সভার আয়োজন হয়েছিল। রাত ৯টা নাগাদ শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সেই কার্যালয় ঘিরে ফেলে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, এলাকা অশান্ত করার মতলবে সিপিএম অস্ত্রশস্ত্র মজুত করছে। পুলিশ এসে বিনয় দত্ত-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ১২টি বোমাও উদ্ধার হয় বলে পুলিশ জানায়। যদিও বিনয়বাবুর দাবি, ওই সব বোমা সাজিয়ে রেখে পুলিশ ডেকেছে তৃণমূলের লোকজন। বিনয়বাবু ও আবুল হোসেনকে এ দিন ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি তিন জনকে ১৪ দিন জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই একই মামলায় অভিযুক্ত সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির নেতা ভাস্কর রায়কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
|