সেবি-র নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল অর্থ লগ্নি সংস্থা সুমঙ্গল। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার সোমবার আবেদন জানাল তারাই। আদালত ওই সংস্থার আর্জি মঞ্জুর করেছে।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে এ দিন ওই মামলার শুনানির ছিল। কিন্তু সুমঙ্গলের তরফে এত দিন যাঁরা সওয়াল করে এসেছেন, এ দিন শুনানির সময় সেই সিনিয়র আইনজীবীদের কাউকেই দেখা যায়নি। ওই অর্থ লগ্নি সংস্থার পক্ষে এক তরুণ আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। সেই আবেদন মেনে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, গ্রীষ্মাবকাশের পরে শুনানি হবে। সেবি-র তরফে অবশ্য মামলা লড়ার জন্য এ দিন সব সিনিয়র আইনজীবীই এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
ওই লগ্নি সংস্থা সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমানতকারীদের উদ্দেশে জানিয়েছিল, আলু কেনাবেচা করে তারা ১৫ মাসের মধ্যে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ সুদ-সহ আসল টাকা ফেরত দেবে। জানানো হয়, এক লক্ষ টাকা রাখলে ১৫ মাস পরে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে দু’লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সংস্থার বক্তব্য, তাদের অনেক হিমঘর আছে। যখন আলু ওঠে, সস্তা দরে তা কিনে নিজেদের হিমঘরে রেখে দেওয়া হয়। বাজার চড়লে সেই আলু বিক্রি করে সুদ-সহ আসল টাকা ফেরত দেওয়া হয় আমানতকারীদের।
সেবি ২০১২ সালে সুমঙ্গলকে আমানত সংগ্রহ এবং আলু বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেবি-র ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সুমঙ্গল। প্রথম দিনের শুনানিতে সুমঙ্গলের পক্ষে হাইকোর্টে বলা হয়, সেবি যে-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের কথা বলেছে, তাদের তা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিচারপতি দত্ত জানাতে চান, আলু বিক্রি করে কত লাভ হয় যে, ১৫ মাসে আমানতকারীদের দ্বিগুণ টাকা দেওয়া সম্ভব?
সোমবার ওই সংস্থার তরফে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন দেখা যায়, সংস্থাটি মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে আগ্রহী। |