মাসখানেকের মধ্যেই বর্ষা নামবে শহরে। অথচ এখনও উল্টোডাঙা খাল থেকে সরল না উড়ালপুলের ভেঙে পড়া ডেকটি। সেচ দফতর সূত্রে খবর, বর্ষার আগেই উল্টোডাঙা খালের সৌর্ন্দযায়ন ও পলি তোলার কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ভেঙে পড়া ডেকটি না তুললে আটকে থাকছে সেই কাজ। বিষয়টি তারা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের গোচরে এনেছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ভেঙে পড়া ডেকটির নিলাম হয়ে গিয়েছে। নিলামের কাজটি করেছে কেন্দ্রের একটি সংস্থা। একটি সংস্থা ৪৫ লক্ষ টাকায় ওই ডেকটি কিনেছে। খুব শীঘ্রই সেটি সরানোর কাজ শুরু হবে।”
গত ৩ মার্চ ভোরে ভেঙে পড়ে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একটি অংশ। তার পরে দু’মাস কেটেছে। নিলাম না হওয়ায় এত দিন ভেঙে পড়া ডেকটি তোলা যাচ্ছিল না। এ ছাড়া, ভাঙা ডেকটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছিলেন ফরেন্সিক দল ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরা। তবে ফরেন্সিক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তাদের সব ধরনের নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ডেক সংক্রান্ত সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ। রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এত দিন নানা কারণে ডেকটি সরানো যাচ্ছিল না। এ বার নিলাম সম্পূর্ণ হওয়ায় আশা করা যায় দ্রুত কাজ শুরু হবে।” |
সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সামনেই বর্ষা বলে তারা প্রমাদ গুনছেন। ভরা বর্ষায় ভাঙা ডেক খালে থাকলে জলের গতি রুদ্ধ হয়ে আশপাশে উপচে পড়তে পারে। রাজীববাবু বলেন, “শহরের যে ক’টি খালের পলি তোলা ও সৌন্দর্যায়ন হওয়ার কথা, তার মধ্যে অগ্রাধিকার উল্টোডাঙা খালের। যেখানে ডেকটি পড়ে রয়েছে, সেখান থেকেই সৌর্ন্দয়ান শুরু হওয়ার কথা। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে খালের দু’ধারে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পার্ক, ক্যাফেটেরিয়া তৈরি হবে। তবে সব থেকে আগে প্রয়োজন খাল পরিষ্কার করা। ভাঙা ডেক সরানো হলে সে কাজ শুরু করা যাবে।”
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, ডেক কেটে ক্রেন দিয়ে তোলা হবে। যে সংস্থা নিলামে ডেকটি কিনেছে, তারা ওই কাজ করবে। ফিরহাদ বলেন, “আমরা ওই সংস্থাটিকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছি।”
|