গোয়াতে ম্লান লাল-হলুদ, আজ যাচ্ছেন করিমরা
রানার্স-ট্রফি কার্যত হাতছাড়া মর্গ্যানের

ইস্টবেঙ্গল: ২ (পেন, ইসফাক)
ডেম্পো: ২ (কার্ভালো, জনি)
চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা, রানার্সের স্বপ্নও কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের। ডেম্পোর সঙ্গে ২-২ ড্র করে এখন আই লিগে ‘থার্ড ম্যান’ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। অন্তত পরিসংখ্যান তো সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন না, চিডি-পেনরা যেখানে ২৪ ম্যাচে ৪৪, সেখানে পুণে এফসি ২৫ ম্যাচে ৪৯। আই লিগে রানার্সের হ্যাটট্রিক করতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে বাকি দু’টো ম্যাচ (ইউনাইটেড সিকিম ও লাজং এফসি) তো জিততেই হবে। পাশাপাশি ডেরেক পেরেরার দলকেও হারতে হবে পৈলান অ্যারোজের কাছে।
অসম্ভব জটিল অঙ্ক। তবে লাল-হলুদ ফুটবলাররা হাল ছাড়তে চাইছেন না। গোয়া থেকে ফোনে পেন ওরজি যেমন বলছিলেন, “আজকের ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। যে ভাবে শুরু করেছিলাম শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারলাম না। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও, রানার্সের আশা ছাড়ছি না।” শনিবার ম্যাচ শুরুর কুড়ি মিনিটের মধ্যেই পেনের দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন মেহতাবরা। গোলের সংখ্যা না বাড়লেও, ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের চাপে তখন রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা আর্মান্দো কোলাসোর ডিপ-ডিফেন্সের। কিন্তু বিরতির পরে লাল-হলুদ রক্ষণ এবং গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহের অসাবধানতায় পেন-মেহতাবদের সব পরিশ্রম জলে চলে গেল। বিশেষ করে গুরপ্রীতের অনভিজ্ঞতার জন্যই ভুগতে হল দলকে।
কাজে এল না ইসফাক আর পেনের গোল।
গোয়ায় ঘরের মাঠে ডেম্পোকে হারানোর সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন মর্গ্যান। কোলাসোর প্রথম দলের পাঁচ জন ফুটবলার না থাকা এবং শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলকে দারুণ সুবিধা করে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উল্টে হারতে হারতে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হল তাদের। বিরতির ঠিক পরেই কার্ভালোর গোলে ১-১। এবং মিনিট কুড়ির মধ্যেই জনি-র গোলে ২-১ ডেম্পো। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক চার মিনিট আগে ইসফাক গোল শোধ না করলে রানার্স হওয়ার যে ছিটেফোঁটা আশা টিমটিম করে জ্বলছে, সেটাও নিভে যেত। মেহতাব বলছিলেন, “আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে তিন পয়েন্ট না পাওয়াটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক।”
তিন বারের মধ্যে লাল-হলুদ কোচের কাছে এটাই সেরা সুযোগ ছিল আই লিগ জেতার। কিন্তু এ বারও মর্গ্যানকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। তবু সাহেব কোচের গলায় সন্তুষ্টি, “আই লিগ না পেলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। সব সময় তো আর জেতা যায় না! আমরা চেষ্টা করেছি। হয়নি।” ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ালেও, ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.