৮০ রানেই শেষ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এ বারের আইপিএলে সবচেয়ে কম রানের ইনিংস। শনিবার হায়দরাবাদে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ডেল স্টেইনরা। আর তাতেই ধরাশায়ী দিল্লি। ছ’ওভার এক বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে ফের প্রথম চারে ঢুকে পড়ল হায়দরাবাদ। অন্য দিকে দিল্লির প্লে অফে যাওয়ার আশা পুরোপুরি শেষ। |
|
|
সদ্যোজাতর জন্য। সহবাগের
উইকেট নিয়ে স্যামি-র নাচ। |
শনিবারও আবার
ব্যর্থ সহবাগ। |
|
লড়াইটা ছিল শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন অধিনায়কের দলের মধ্যে। জয়বর্ধনে বনাম সঙ্গকারা। সঙ্গার সানরাইজার্স দলের বোলাররা এ দিন ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ডেল স্টেইন, ইশান্ত শর্মারা ত্রাস হয়ে ওঠেন সহবাগ, উন্মুক্তদের কাছে। এ জন্য অবশ্য উপ্পলের উইকেটকে দায়ী করলেন দিল্লির অধিনায়ক জয়বর্ধনে। খেলার শেষে বলেন, “এই উইকেটে ভাল ব্যাট করা খুব কঠিন। বড় শট নেওয়া যাচ্ছিল না।” তবে স্বীকারও করে নেন, “আমাদের ব্যাটসম্যানরাও খুব খারাপ ফর্মে ছিল। এই উইকেটে বোর্ডে অন্তত ১২০ রান না থাকলে লড়াই করা যায় না।” এ বারের আইপিএলে এটাই সবচেয়ে কম রানের স্কোর হলেও আইপিএলের ইতিহাসে ছোট ইনিংসের তালিকায় চতুর্থ। ২০০৯-এ রাজস্থান রয়্যালসের ৫৮, ২০০৮-এ কেকেআরের ৬৭ ও ২০১১-য় কোচির ৭৪-এর পরই শনিবারের এই ইনিংস। এমন উইকেটেও অবশ্য হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা ৮৩ বলেই রান তুলে নেন। ১৬ বলে ২২ করেন শিখর ধবন, ২০ বলে ১৮ ম্যাচের সেরা স্যামির। সব মিলিয়ে সানরাইজার্সের ইনিংসে আটটি চার ও একটি ছয়। তার আগে অবশ্য মাত্র দশ রানের মধ্যে দিল্লির শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিরে যান। ৭০-৫ থেকে দিল্লি ৮০ রানেই শেষ। সবচেয়ে বেশি ১৭ রান উন্মুক্ত চন্দের ব্যাটে। সহবাগ মাত্র আট। বাকিদের মাথা তুলে দাঁড়াতেই দিলেন না ইশান্ত শর্মা (১-১১), স্টেইনরা (২-২১)। থিসারা পেরেরা ও ডারেন স্যামিও দু’টি করে উইকেট পান। |