|
|
|
|
১২ সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি অসমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সারদা-সহ বেসরকারি ১২টি লগ্নিকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠাল অসম সরকার। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সিবিআই তদন্ত চেয়ে দিল্লিতে ফোন করে কথাবার্তা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা (উত্তর-পূর্ব) আর পি অগ্রবাল ইতিমধ্যেই এই ধরনের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ ও তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে পুলিশ, সিআইডি ও ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (ইকনমিক অফেন্সেস)-এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়, রাজ্য সরকার ১২টি সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি মামলার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মেলার পরেই সিবিআই তদন্ত শুরু করবে।
পাশাপাশি, রাজ্য আজ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘অসম প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটর্স (ইন ফিনানসিয়াল এসটাবলিসমেন্ট) সংশোধনী বিল, ২০১৩’ রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে এই সংশোধিত বিলটি আইনের মর্যাদা পাবে। সংশোধিত বিলে, সরকার নিজে থেকে এই ধরনের অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারবে। কোনও অভিযোগ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এ ছাড়া, এই আইন অনুযায়ী যে কোনও ব্যাঙ্ক বহির্ভূত সংস্থাকে ব্যবসা শুরুর আগে সরকারের কাছে নিজেদের বিশদ তথ্যাদি জমা রাখতে হবে। নিতে হবে জেলাশাসকের লাইসেন্স। সংশোধিত আইনে জামিন অযোগ্য ধারার পাশাপাশি, ‘ফাস্ট ট্রাক’ আদালতে বিচার, ১০ বছর অবধি সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানার বিধান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “এ ধরনের সংস্থা নিয়ে আমি দেড় বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছি। আনা হচ্ছে নতুন, শক্তিশালী আইন। বিরোধীদের সবে ঘুম ভেঙেছে। হয়তো ওদের সঙ্গেও ওই সব সংস্থার যোগাযোগ আছে। তাই ওরা এতদিন চুপ করে ছিল। আমার পদত্যাগ দাবি করার অধিকার বিরোধীদের নেই। সিবিআই দিন দুয়েকের মধ্যেই তদন্ত শুরু করবে। তখনই সব ফাঁস হবে। দোষ প্রমাণ হলে শাসক-বিরোধী কেউই ছাড়া পাবেন না।” |
|
|
|
|
|