|
|
|
|
উত্তর-পূর্বে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গত ৪৮ ঘণ্টার ঝড়-বৃষ্টিতে অসম, মেঘালয়, অরুণাচল মিলিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যা বহু। ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টিতে বহু পরিবার ঘরছাড়া। সুবনসিরি নদীতে ৫টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। বহু স্থানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
দু’দিনের টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে অসমে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় কুড়িজন। নামনি অসমে বাজ পড়ে বেশ কিছু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে চিরাং জেলার ডোনাবাড়ি, বালাঝাড়, বেসারবাড়ি গ্রামে দফায় দফায় বজ্রপাতের ফলে ৯ জন কিশোর-কিশোরী ও ৫ মহিলা-সহ ১৯ জন জখম হয়েছেন। জখমদের বেংটোল স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বঙাইগাঁও সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গৌরীপুরের বালাজানের বাসিন্দা মহেশ রায় মাঠে গরু চরাবার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
গোহপুর ও বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে গত কালের ঝড়ে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অরুণাচলে টানা বৃষ্টির ফলে উজানি অসমের নদীগুলিতে জল বাড়ছে। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিহপুরিয়ার ধুনাগুড়িতে ভূমিক্ষয় ব্যাপক আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যে ৫টি বাড়ি সুবনসিরি নদীতে
তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের একমাত্র সড়কটিরও প্রায় অগম্য অবস্থা। এ দিকে, বরাক উপত্যাকার তিনটি জেলায় ছড়িয়ে থাকা ১০৪টি চা বাগানে ঝড়বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর চা গাছ ঝড়ের দাপটে নষ্ট হয়েছে। এমনিতেই দীর্ঘ অনাবৃষ্টির জেরে বাগানগুলিতে ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’-এর ফলন অনেকটাই কম ছিল। তার উপরে অকাল ঝড়ের ফলে বাকি গাছের অবস্থাও শোচনীয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লখিপুরে ঝড়ে প্রায় ৫০০ কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। মেঘালয়ের পশ্চিম খাসি পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিতে মাওসিয়েজ গ্রামে নানলি খারদেওসাও নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন ও ২৫ জন জখম হয়েছে। জেলার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বাড়ি ভেঙে জখম ২০ জনকে নোংস্টেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে দুটি ত্রাণ শিবির। অরুণাচলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে
ঝড়বৃষ্টিতে বহু গ্রামে ঢোকার পথই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে হুনলি, দেওপানিতে সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সিমা নদীর জল এরমধ্যেই আশপাশের গ্রাম ভাসিয়ে দিয়েছে। |
|
|
|
|
|