|
|
|
|
শুল্ক আইন অমান্য করে আটক রণবীর |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
বিপাশা বসু, মিনিশা লাম্বা, মিকা সিংহর পর এ বার রণবীর কপূর। শুল্ক বিভাগের আইন অমান্য করার অভিযোগে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী বিমানবন্দরে আটক করা হল বছর তিরিশের এই বলিউড অভিনেতাকে। প্রায় ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর ৬০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে লন্ডন থেকে মুম্বই আসেন রণবীর কপূর। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে প্রায় লাখ খানেক টাকার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রয়েছে, যেগুলির জন্য শুল্ক বিভাগের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
মুম্বই বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সমীর ওয়াংখেড়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “বিমানবন্দরে নামার পর তিনি এমন একটি জায়গা দিয়ে হাঁটছিলেন, যেটি শুধু বিমানবন্দরের কর্মীরাই ব্যবহার করতে পারেন। তখনই তাঁকে আটকে তাঁর সঙ্গের মালপত্র পরীক্ষা করি আমরা। তাঁর কাছে প্রায় লাখ টাকার বিদেশি ব্র্যান্ডের জামা-কাপড়, জুতো, সুগন্ধী ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে। এগুলি আনতে হলে রেড চ্যানেলকে জানানোর কথা, কিন্তু তা তিনি করেননি।”
কী এই রেড চ্যানেল?
বিদেশ থেকে কোনও জিনিস আনার সময় তা যদি শুল্ক দফতরের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে তা গ্রিন চ্যানেলের মধ্যে দিয়েই আনা যায়। কিন্তু তালিকার বাইরে অতিরিক্ত কোনও জিনিস বিদেশ থেকে আনতে হলে রেড চ্যানেলকে জানিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে তা আনতে হয়। দিতে হয় অতিরিক্ত মাশুলও। রেড চ্যানেলের অনুমতি মিললে তবেই শুল্ক বিভাগের কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যায়।
মুম্বই বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রণবীরের কাছে যে বিদেশি ব্র্যান্ডের জিনিসগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি রেড চ্যানেলের আওতায় পড়ে।
শুল্ক বিভাগের আর এক কর্মচারী জানিয়েছেন, রণবীরকে যখন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল এবং তাঁর সঙ্গের জিনিসগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তখন তিনি এমন ভাবে কথা বলছিলেন, যেন তিনি শুল্ক বিভাগের নিয়ম কানুন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করার পর জিনিসপত্র-সহ ছেড়ে দেওয়া হয় রণবীর কপূরকে। |
|
|
|
|
|