বাড়ল ভারতের সঙ্গে তিক্ততা
কোমায় সানাউল্লা, দেখল পাক হাইকমিশনের দল
খনও সঙ্কটজনক সানাউল্লা। আজ ভোর সাড়ে তিনটের সময় চণ্ডীগড় পিজিআইতে তাঁকে দেখতে যান পাক হাইকমিশনের একটি দল। হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁদের। পরে বাইরে এসে বলেন, “কী বীভৎস ভাবে সানাউল্লাকে একের পর এক আঘাত করা হয়েছে, না দেখলে বোঝানো যাবে না। সানাউল্লাকে নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকেরা।”
কাল জম্মুর কোট বলওয়াল জেলে পাক বন্দি সানাউল্লা রণজয়ের উপর হামলা চালান খুনের আসামি এক প্রাক্তন সেনা। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বিকেলেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সানাউল্লাকে নিয়ে আসা হয় চণ্ডীগড়ে। সেখানকার ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’-এর আইসিইউতে আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। শনিবার এক মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সানাউল্লা কোমায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে নতুন করে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়নি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে সানাউল্লাকে। রক্তচাপ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই কড়া ওষুধ চলছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনুযায়ী সানাউল্লার মাথার আঘাত গুরুতর। জল জমেছে মস্তিষ্কে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের একটি দল ক্রমাগত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাঁকে। পাক হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সানাউল্লার উপর আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্র পাকিস্তান দাবি করেছিল, আহতের সঙ্গে তাদের কূটনীতিকদের যেন দেখা করতে দেওয়া হয়। নয়াদিল্লি সেই দাবি মেনে নেয় শুক্রবার রাতেই। পাক কূটনীতিকরা দিনে এক বার চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে দেখে আসতে পারবেন সানাউল্লাকে। পাশাপাশি সে দেশ থেকে তিন অফিসার ও এক জন গাড়ির চালককে ভারতে আসার অনুমতিও দিয়েছে দিল্লি।
সর্বজিতের মৃত্যুর আটচল্লিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে পাক বন্দির উপর হামলার ঘটনায় ভারত-পাক সম্পর্কের তিক্ততা বেড়েছে অনেকটাই। এই অবস্থায় একে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পাকিস্তান। আজ পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মির হাজার খান খোসো বলেন, ভারতের জেলে যে পাক বন্দিরা রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের যেন খেয়াল রাখে ভারত। কালকের ঘটনার তদন্তও দাবি করেছেন তিনি।
তবে কোট বলওয়াল জেলে হামলার পর তৎপরতা দেখিয়েছে ভারত। জেল সুপার-সহ আর এক কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্তের নির্দেশ দেয় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।
যে সব রাজ্যের জেলে পাকিস্তানি বন্দিরা আছেন, নিরাপত্তা জোরদার করা হয় সেখানেও। উত্তরপ্রদেশে এ রকম ২৪ জন পাক বন্দি রয়েছেন। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি এক বন্দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.