যখন লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে চিন-ভারত সম্পর্কে, তখনই কৌশলগত দিক থেকে কিছুটা সাফল্য পেল নয়াদিল্লি।
ইরানের ছাবাহার বন্দর উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আজ এই সিদ্ধান্তের কথা তেহরানে ইরান সরকারকে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। এশিয়ায় চিনা প্রভাব বিস্তার রুখতেই ভারত এই পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে ১৯ কিমি ঢুকে এসেছে চিনা সেনা। এখনও ফেরার লক্ষণ নেই তাদের। ফলে, প্রস্তাবিত চিন সফরে খুরশিদ যাবেন কি না তা অনিশ্চিত। তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক উত্তাপ। কেবল লাদাখের অনুপ্রবেশ নয়, এশিয়ায় চিন ধীরে ধীরে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বলে মত অনেকেরই। ছাবাহারের কাছেই পাকিস্তানের গদর বন্দর উন্নয়নের দায়িত্বে চিন। গদর থেকে পাকিস্তান ছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পায় চিনারা। পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পরিবহণের অনুমতি নেই ভারতের। ফলে, আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল ভারত। এগিয়ে গিয়েছিল বেজিং।
ছাবাহার বন্দরের দিকে তাই দীর্ঘদিন ধরেই নজর ছিল দিল্লির। এই বন্দর থেকে পাকিস্তানের উপরে নির্ভর না করেই আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব। অবশেষে সেই বন্দর উন্নয়নে ভারতের অংশগ্রহণ এশিয়ার এই অঞ্চলে ভারতকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দিল।
ছাবাহারে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যও বাড়াতে চায় দিল্লি। তবে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকার বাধার মুখে পড়তে হবে ভারতকে। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ফয়সালার আগে ইরানের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বরদাস্ত করতে রাজি নয় ওয়াশিংটন।
নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলি কূটনীতিকের গাড়িতে হামলায় ইরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল আমেরিকা-ইজরায়েল। তখন ভারতকে ইরান থেকে তেল কেনা কমাতে চাপ দিয়েছিল আমেরিকা। তবে ভারত নিজের স্বার্থেই ইরান ও আমেরিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর।
আর তাই ইরানের পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করতে রাজি নয়াদিল্লি। |