|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন
|
নৃত্যদিবসে জলপাইগুড়ি |
২৯শে এপ্রিল বিশ্ব নৃত্য দিবসে নৃত্যের ছন্দে মুখরিত হল শহর জলপাইগুড়ি। বিকেল ৫টায় শহরের সমস্ত নৃত্য সংগঠন ও শিল্পীদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সমাজপাড়া স্টুডেন্টস হেল্থ হোমের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে শহর পরিক্রমা করে পৌঁছয় উৎসব প্রাঙ্গণ কদমতলা মাদ্রাসা ময়দানে। সহস্রাধিক শিশু-কিশোর-কিশোরীর নাচে ছন্দে বর্ণময় হয়ে ওঠে শোভাযাত্রা। এ ভাবে দিনটি উদযাপনের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে নৃত্যের শালীন সভ্য রুচিসম্মত সহজ ভাষায় একত্রিত করতে ১৯৮২ সালে এই দিনটিকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর ইন্টারন্যাশনাল ডান্স কাউন্সিলের সভাপতি আলক্রিস রাফটিস নৃত্যকে বিষয় করে সমাজের প্রতিটি মানুষের মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। পৃথিবীর সমস্ত নৃত্য শিল্পীদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়ে ইউনেস্কোর সভানেত্রী ইরানা বাকোভা এ বার তাঁর বার্তায় আহ্বান জানান, ‘সমস্ত মানব জাতির সামনে সংস্কৃতি চর্চার দ্বার উন্মুক্ত হোক’ ।
আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক গৌতম গুহ রায় হিংসামুক্ত শান্তিময় সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে সংস্কৃতি কর্মীদের মৈত্রী গড়ে তোলার আবেদন জানান। বস্তুত শহরের ২২টি নৃত্য সংস্থা মঞ্চে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সেই আহ্বানে একত্রিত হন। নৃত্যম, জলপাইগুড়ি কলামণ্ডলম, নটনিক্বন, পায়েলিয়া নৃত্যালয়, পায়েল নৃত্য ছন্দম, সংকল্প, রীণা এ স্টাডি গ্রুপ ফর ডান্স, রিদম, রবীন্দ্রবীথি, কল্পদীপ, নৃত্যাঙ্গন, পায়েল ডান্স অ্যাকাডেমি, মন্দাক্রান্তা, ইউথ ডান্স গ্রুপ, শুকতারা নৃত্যালয়, মুদ্রা, নিক্বন, সৃষ্টি মাইম থিয়েটার, দ্রিমিকি, মল্লিকা নৃত্যালয় প্রভৃতি অংশগ্রহণকারী সংস্থার হাতে সংগঠনের তরফেস্মারক দেওয়া হয়।
|
মহামণ্ডলের নানা অনুষ্ঠান |
ছাত্রাবস্থায় দেশের যুব সম্প্রদায়কে দেশ গঠনের মূল কারিগর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সন্ন্যাস গ্রহণের পরেও জীবন গঠন করতে যুব সম্প্রদায়কে গীতা পাঠের পাশাপাশি খেলাধুলোয় শরীরচর্চার উপদেশ দিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পেরিয়েও তার উপদেশ দেশের সম্প্রদায়ের আত্মনির্ভরের দিশা। উত্তরবঙ্গের তরুণ প্রজন্মের কাছে স্বামীজির সেই বার্তা পৌছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে অখিল ভারতীয় যুব মহামণ্ডল। গত ৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল, পাঁচ দিনে উত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ ১০টি সভার আয়োজন করে মহামণ্ডল। প্রতিটি সভায় স্বামীজির জীবন আর্দশ তুলে ধরে যুব সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাখ্যা করেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আত্মপ্রিয়ানন্দ এবং অখিল ভারতীয় যুব মহামণ্ডলের সর্বভারতীয় সম্পাদক বীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী। জলপাইগুড়ি আর্ট গ্যালারিতে সভা দিয়ে মহামণ্ডলের উত্তর কর্মসূচি শুরু হয়। ময়নাগুড়ির রবিতীর্থ প্রেক্ষাগৃহ, ধূপগুড়ি কমিউনিটি হল সহ, কোচবিহার কলেজ, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে মহামণ্ডলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দ সার্ধশতবর্ষ আবির্ভাব উদযাপন মঞ্চের সম্পাদক মনোময় পাল জানিয়েছেন, পাঁচ দিনের টানা দশটি সভাকে সার্ধশতবর্ষ উদযাপনের শিক্ষা সফর হিসেবে পালন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের আয়োজনে ২৭-২৯ এপ্রিল শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে বিশ্ব নৃত্য দিবস উদযাপন করা হয়। শিলিগুড়ির নানা নৃত্যগোষ্ঠী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। জলপাইগুড়ি শাখার তরফেও বিশ্ব নৃত্য দিবস উদযাপিত হয়েছে। নানা গোষ্ঠীকে নিয়ে শোভাযাত্রা হয়।
|
৩ দিন সচেতনতা শিবির |
ক্যালকাটা মেট্রপলিটান ইনস্টিটিউট অফ জেরোন্টোলজি মালদহ শাখা দুটি বিষয়ের উপর তিনদিনের সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল। প্রথম দিন মালদার কন্যা শিক্ষালয় বিদ্যালয়ে শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন অনুষ্ঠান ছিল যথাক্রমে মালদা অ্যাকাডেমি স্কুল এবং চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। বিষয় ছিল ওয়ান ডে সেনসেটাইজেশন প্রোগাম ফর স্কুল টিচার, কাউন্সিলর, স্টুডেন্টস টু ব্রিজ ইন্টার জেনারেশন গ্যাপ ও ওয়ান ডে সেনসেটাইজেশন প্রোগাম ফর ফ্যামিলি কেয়ার, জিভার্স ফর ডিমান্ডেড এল্ডারলি। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, অধ্যাপক বিকাশ রায়, সরিৎ দাস, চন্দ্রা দাস, সুতপা দাস, বাণী মিশ্র, অধ্যাপক শক্তিপদ পাত্র এবং মধুলীনা মিশ্র। অংশ নেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা।
|
কবি প্রণামে রবীন্দ্র-স্মরণ |
কবি পক্ষের প্রাক্-লগ্নে মালদহের গৌড় মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হল রবীন্দ্রস্মরণে। শিরোনাম-তোমারে করি নমস্কার। আদ্যোপান্ত ছিমছাম এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনাই ছিল এই আযোজনের মূল আকর্ষণ। বিষয়: ‘রবীন্দ্রচিন্তায় আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রয়োগ’, ‘পাশ্চাত্য সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ’, ‘সমাজ মননে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও রবীন্দ্রনাথ’ ইত্যাদি। এই অনুষ্ঠানের পরিচালনা এবং রূপায়ণের দায়িত্বে ছিলেন সুস্মিতা সোম। অনুষ্ঠানে নানা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
|
এ-পার ও-পার |
তিস্তা নন্দিনী সাহিত্য পত্রিকা ও পাঠচক্রের উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ষবরণ। উপস্থিত ছিলেন ও পার বাংলার কয়েক জন লেখক। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সোমা শর্মা, ডালিয়া চৌধুরী, সীমা চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেছিলেন দেবযানী সেনগুপ্ত, মুনমুন ভৌমিক, মহুয়া চক্রবর্তী, বেদশ্রী চৌধুরী প্রমুখ। ‘নন্দিনীর কথা’ নামে একটি গীতি আলেখ্য পরিবেশন করা হয়। সঞ্চালক ছিলেন তনুশ্রী পাল।
|
বালুরঘাটে কর্মশালা |
বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সর্বশিক্ষা মিশন এবং সদর সার্কেলের উদ্যোগে ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল কর্মশালা। বিষয় ছিল ‘কারিকুলাম নিউ সিলেবাস অ্যান্ড টেক্সট বুকস অব ক্লাস ফাইভ অ্যান্ড সেভেন’। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছায়া দাস। বক্তব্য রাখেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, ব্রততী দেব সরকার, তারকনাথ মল্লিক প্রমুখ। |
|
|
|
|
|