রোগে ভুগে মৃত্যু হল এক হস্তিনীর। বেলিয়াতোড়ের নিত্যানন্দপুরের জঙ্গলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মাদি হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বনকর্মীরা যান। পশু চিকিৎসক গিয়ে হাতিটির দেহের ময়নাতদন্ত করেন। শুক্রবার ভোরে জঙ্গলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় মৃত হাতিটিকে। কিন্তু ক’দিন ধরে ওই হস্তিনীকে কাছ ছাড়া করতে নারাজ থাকা দু’টি দাঁতালের এর পর থেকেই হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “মাদি হাতিটির বয়েস আনুমানিক ৮ বছর। দেহের গভীরে ক্ষত ছড়িয়ে পড়ায় তার মৃত্যু বলে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে।”
দলমার বড় দলটিকে বনকর্মীরা বড়জ়োড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, ওই দল থেকে হস্তিনী-সহ দু’টি দাঁতাল আলাদা হয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল। ক’দিন ধরে তারা নিত্যানন্দপুরের জঙ্গলে আস্তানা নিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তপন ঘোষ বলেন, “দলের প্রায় সব হাতি সোনামুখী-পাত্রসায়রের দিকে এগিয়ে গেলেও দু’টি দাঁতালের সঙ্গে তুলনায় কম বয়সী এই হস্তিনীটি থেকে গিয়েছিল। মাঝে-মধ্যে দুই দাঁতালকে লড়াই করতেও অনেকে দেখেছেন। মনে হয় ওই হস্তিনীর দখল নেওয়ার জন্যই লড়াই চলত।” বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ তুং বলেন, “জঙ্গল থেকে দুই দাঁতালের লড়াইয়ের শব্দ পাচ্ছিলাম ক’দিন ধরে।” তবে ওই দুই দাঁতালের জখম হওয়ার খবর মেলেনি। কিন্তু হস্তিনীর মৃত্যুর পিছনে তাদের বাড়াবাড়ি রকমের আবেগ ছিল বলে অনেকে মনে করছেন। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) বলেন, “ওই তিনটি হাতিটি নিত্যানন্দপুরে রয়ে গিয়েছিল বলে আমাদের কাউ জানাননি। ক্ষত পরীক্ষা করে আমাদের অনুমান, হস্তিনীর উপর অত্যাচার করা হয়ে থাকতে পারে।” হস্তিনীর ময়নাতদন্ত করা পশু চিকিৎসক নিত্যগোপাল দে বলেন, “ওর দেহের অনেকখানি অংশে ক্ষত সংক্রমিত হয়েছিল। সে কারণেই ওর মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে।” গ্রামবাসীরা জানান, সঙ্গিণীর মৃত্যুর পরেই গা ঢাকা দিয়েছে দুই দাঁতাল। |