খেলা
শেখার আশায়
টেবলের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে কোচের পরামর্শ শুনছিল এক ঝাঁক খুদে। সম্প্রতি হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবে ৬-১৪ বছরের এই খুদেদের নিয়ে হয়ে গেল টেবল টেনিসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির।
রাজ্য ক্রীড়াপর্ষদ ও হাওড়া জেলা যুব দফতরের সহযোগিতায় ১২০ দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এখানে এসে খুশি কদমতলার মেয়ে দেবশ্রী গড়াই। সে বলল, “ঠিক ভাবে ব্যাট ধরা, টেবলের সামনে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে টপ স্পিন মারাঅনেক কিছুই শিখেছি।” বালি ইয়ুথ ক্লাবের রত্নাবলী পাঠক, বিশ্বকল্যাণ সঙ্ঘের পার্থ মুখোপাধ্যায় কিংবা হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবের শিক্ষার্থী শ্রেয়সী হাজরাও নতুন কিছু শিখতে পেরে খুশি।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
১৯৮৪ থেকে প্রশিক্ষকের কাজ করছেন জয়ন্ত পুশিলাল। জয়ন্তবাবু বললেন, “অনেকের মধ্যেই প্রতিভা আছে। দরকার ঠিক পদ্ধতিতে মেনে প্রশিক্ষণ।” আয়োজক ক্লাবের পক্ষে সুব্রত বক্সি জানান, সপ্তাহে চার দিন ধরে শিবির চলে। প্রশিক্ষণ শুরুর আগে জেলার বিভিন্ন টেবিল টেনিস ক্লাব এবং স্কুলে চিঠি পাঠানো হয়। সেখান থেকেই ছেলেমেয়েদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। সহযোগী কোচ হিসেবে ছিলেন বুদ্ধ পাল ও দেবাশিস গড়াই।
হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক নিমাই দত্ত বলেন, “আমাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। শিবির শেষ হলেও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখানে এসে শিখতে পারবে।” সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেবল টেনিস খেলোয়াড় প্রীতিকণা বন্দ্যোপাধ্যায়, নূপুর সাঁতরা, বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রঙ্গন মজুমদার, জেলা যুব আধিকারিক সমরজিৎ চক্রবর্তী। সমরজিৎবাবু বলেন, “যে সব ক্লাবে নিয়মিত টেবিল টেনিস চর্চা হয় তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করা হবে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.