প্রায় প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রী বলছেন টাকা নেই, আর্থিক ভাঁড়ার শূন্য। বারবার মন্ত্রী-আমলাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, রাজস্ব আদায়ে আরও তৎপর হতে। ঠিক তখনই উল্টো ছবি দেখা গেল হাওড়ার শ্যামপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। এই অফিসে মূলত জমি কেনা-বেচার কাজ হয়। তা থেকে রাজস্ব পায় রাজ্য সরকার। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই রেজিস্ট্রি অফিস নিয়মিত খোলা হয় না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিরে যেতে হয় মানুষকে। |
ক্ষতি হয় লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। কেন এই অফিস নিয়মিত খোলা হচ্ছে না, সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারলেন না কেউই। সাব রেজিস্ট্রার দেবজিৎ রায় বলেন, “আমি অসুস্থ, নিয়মিত যেতে পারি না। তবে রেজিস্ট্রার কেন আসছেন না বলতে পারব না। রেজিস্ট্রার না আসলে আমাদের কোনও কাজ থাকে না। তাই আমরাও আসি না।” এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
|
পঞ্চায়েতের দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান, উপপ্রধান এবং প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল প্রশাসন। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের তরফে পাণ্ডুয়ার বিডিও সিপিএম পরিচালিত বেলুন-ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতিমূলক কাজকর্মের অভিযোগে পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ২৬ এপ্রিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও করে রাখা হয়। অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাণ্ডুয়ার বিডিও নবনীপা সেনগুপ্ত তদন্তের আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে সেই রাতে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার বিডিও বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতে তদন্তে গিয়ে অভিযোগকারীদের দেওয়া অভিযোগগুলি খুঁটিয়ে দেখেন এবং পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সঠিক হিসেবপত্র দাখিল করতে না পারায় বিডিও পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম, উপপ্রধান এবং প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |